দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহীর এক নর্দমায় অজ্ঞাত ব্যক্তির ফেলে যাওয়া টাকা কুড়িয়ে নিল সাধারণ মানুষ। আর এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করলো সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা এক নর্দমায় টাকা পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে শত শত উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় করে। এ সময় অনেককেই নর্দমার ময়লা পানিতে নেমে টাকা কুড়াতে দেখা যায়।
রাস্তার পাশে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কিছু বাতিল কাগজপত্রের সঙ্গে এসব টাকা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এসব টাকার কোনো মালিকানা কেউ দাবি করেনি।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে সেখানে যান। অনেক লোক কে নর্দমার পানিতে নেমে টাকা কুড়োতে দেখেন। লোকজনের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে লাখ খানেক টাকা তো হবে। এ ব্যাপারে নিজেই থানায় জিডি করে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ বলছে, দুপুরের দিকে তারা রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গত ১০ দশ বছরের পুরনো কাগজপত্র রেখেছিল। সেখান থেকে পাশের নর্দমায় কিছু কাগজপত্র পড়ে যায়।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে।
তিনি জানান, ওই কাগজগুলো ২০১০ সালের আগের। কাগজগুলো পচে গেছে। পোড়ানোর উপায় নেই। তাই নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে নর্দমা থেকে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে ১০০০, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ ড্রেনে নেমে পড়েন।
টুলু নামের এক ভাঙাড়ি বিক্রেতা তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই। তবে কত টাকা তিনি পেয়েছেন তা বলতে রাজি হননি।
তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন।
আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন। নর্দমায় ভেসে যাওয়া টাকাগুলো কার তা জানতে পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।