নারী শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যানকারী পালিয়ে গেছে

0
65

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আই,এইচ,টি) নারী শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় ডেন্টাল ইন্সট্রাক্টর কার্ত্তিক গোপাল বিশ্বাসসহ তার তিন সহযোগী পালিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) পাঁচ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন আইএইচটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ রেজিনা আহম্মেদ।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ডেন্টাল ইন্সট্রাক্টর কার্ত্তিক গোপাল বিশ্বাস ডেন্টালের ছাত্রীদের শহরের ব্যাপারীপাড়াস্থ তার চেম্বারে ডেকে এনে হাতে কলমে প্রশিক্ষনের নামে যৌন নির্যাতন চালাতেন। যৌন কর্মে লিপ্ত না হলে মৌখিক পরীক্ষায় ফেল ও লিখিত পরীক্ষায় কম মার্ক দেওয়ার কথা বলে একাধিক ছাত্রীর সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। তদন্ত টিম যৌন নির্যাতনের শিকার এমন শতাধীক নারী শিক্ষার্থীর বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্ত টিম।

আরও পড়ুন – আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিলেন জামায়াত আমির

নারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কার্ত্তিকের এই অপকর্মে সহায়তা করতেন, আইএইচটির রেডিওগ্রাফার সরফরাজ খান সোহাগ। সোহাগ আইএইচটির ক্যাম্পাসে মাদকের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তোলেন। এতে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন। এদিকে গেষ্ট লেকচারারের কোন পদ নাথাকার পরও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চাকলাপাড়ার তারিক মোড়ের মাহমুদুল ইসলাম লিওন ক্লাস নেওয়ার নামে নারী শিক্ষার্থীদের কু-প্রস্তাব দিতেন।

একাধিক সুত্রে জানা গেছে, কার্ত্তিক গোপাল বিশ্বাসের দ্বৈত নাগরিক রয়েছে। ভারতের নাগরিক হওয়ায় তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না। ফলে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের গোটা সময় ধরে তিনি নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে গেছেন।

আইএইচটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ রেজিনা আহম্মেদ মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোন জানান, ছাত্রদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সব ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। প্রায় সব অভিযোগই সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে। যৌন নির্যাতনের কিছু ভিডিও ফুটেজও হাতে পেয়েছি। তিনি বলেন এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

উল্লেখ্য ঝিনাইদহ আইএইচটিতে ৫টি ডিপার্টমেন্টে বর্তমানে ৩৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ণরত রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর ১২ বছরে শিক্ষা জীবন শেষ করে ৭টি ব্যাচের শির্ক্ষীরা চলে গেছেন। ২০১২ সালে মাত্র ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঝিনাইদহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি।