না ফেরার দেশে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

0
216
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (ফাইল ছবি)

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ইন্তেকাল করেছেল। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আখতারুজ্জামান ।

সংবিধানের অনুবাদক, দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রবর্তী মানুষ ছিলেন তিনি। বহু গুনে গুনান্বিত একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা।

ভাষা সংগ্রামী, মহান বরেণ্য এ শিক্ষাবিদ ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এ টি এম মোয়াজ্জেম ছিলেন একজন নামকরা হোমিও চিকিৎসক।

১৯৫৬ সালে স্নাতক সম্মান এবং ১৯৫৭ এম এ-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান ও ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করে ‘নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক’ বৃত্তি লাভ করেন।

তিনি ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।

বরেণ্য এ লেখকের উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে ‘মধুদা, ফতোয়া’, ‘ওগুস্তে ওসাঁর বাংলা-ফারসি শব্দসংগ্রহ’ ‘স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন’, ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্মারকগ্রন্থ’, ‘নারীর কথা’, ও আইন-শব্দকোষ অন্যতম।

তিনি ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মভূষণ’ সহ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, অলক্ত পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অগ্রগামী যোদ্ধা।