নিজ পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

0
45
নিহত চেয়ারম্যানের ফাইল ছবি।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ পরিষদে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) এই ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গুলিতে নিহত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু (৫০)। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এ দিনও সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কর্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাদেরকেও লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা মেরে রাখে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকরা ছবি নিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় একটি পক্ষ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের লাশ ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরেই ছিল।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন । ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন – খোকসায় আগুনে পুড়ে কৃষকের দুই গরুর মৃত্যু

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও তিনি অনেক দিন নিস্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন এবং তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তার সখ্যতা ছিল।

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না।