নির্বাচনী ক্ষোভ : পেট্রোল ঢেলে ইট ভাটার অফিস পুড়িয়ে দিলো দুবৃত্ত্বরা

0
56

স্টাফ রিপোর্টার

রাতে আঁধারে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে একটি ইট ভাটার ৫ কক্ষের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃত্ত্বরা। তবে তারা অফিসের কল্পসিপল গেটের সাথে একটি চিরকুটও লিখে রেখে গেছে। তাতে লেখা আছে ‘ছোটন দাদা টাকা না দেওয়ার কারনে অফিস ভাংলাম’। তবে মালিক পক্ষ বলছেন ‘চিঠি আই ওয়াস। উপজেলা নির্বাচনের ক্ষোভ থেকে দুবৃত্বরা এ অগ্নি সংযোগ করতে পারে।

খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিলজানি বাজার সংলগ্ন এ এম ব্রিকস ২ এর অফিস পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা। বুধবার দিন গত রাত তিন টার পর অফিসে আগুন লাগার বিষয়টি টের পায় প্রতিবেশীরা। রাতেই ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নেভায়। কিন্তু তার আগেই এই অগ্নি সংযোগের ঘটনায় প্রায় ২ কোটি কাটার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে খোকসা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ভাটার অফিসে অগ্নি সংযোগের কয়েক ঘন্টা আগে এলাকার কয়েকজন দুবৃত্ত¡ স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে প্লাটিকের পাত্রে কয়েকশ টাকার পেট্রোল কিনেছে বলে প্রমান মিলিছে। এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

ইটভাটার মালিকের ছেলে ও ভাটার তত্বাবোধয়ক ওয়াহিদুজ্জামান রুবেল বলেন, তারা প্রতি দিনের মত ঘটনার রাতে অফিস বন্ধ করে বাসায় জান। গভীর রাতে হঠাৎ ভাটার অফিসে আগুন লাগার খবর পান। ভাটায় আসেন। দেখতে পান দুবৃত্ত¡রা অফিসের প্রধান গেটের তালা ভেঙ্গে রেখে গেছে। তারা একে একে অফিসের সবকটি কক্ষ তালা ভেঙ্গে হিসাবের খাতাপত্র এক রুমের মেঝেতে স্তুপ করে। এ ছাড়া প্রতিটি কক্ষে পেট্রোল ঢেলে একযোগে আগুন দেয়।

তিনি আরও জানান, তাদের সাথে এলাকার কারো কোন বিরোধ নেই। তবে ব্যবসায়ীক কারণে তিনি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেন। ওই প্রার্থীর সাথে সাথে থেকেছেন। তার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এই ক্ষোভ থেকে দুবৃত্ত¡রা তার অফিসে আগুন দিতে পারে। তার প্রায় ১২ বছরের ব্যবসায়ীক হিসাবের খাতা পত্র পুড়ে গেছে। অগ্নীকান্ডে তার প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা মজনু শাহ। রাত ৩টার দিকে তার বৃদ্ধ মা গরু দেখতে ওঠেন। তিনি প্রথমে ভাটার অফিসে আগুন দেখতে পান। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও ভাটার মালিককের ছেলেকে ফোন করেন। তার বাড়ি ভাটার ১০০ মিটার উত্তরে।

তিনি আরও জানান, প্রথমে এসেই দেখেন সব গুলো রুমে এক সাথে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে। মাছের চোখের মত ক্যামেরা মাঠের মধ্যে পরে আছে। আগুন নেভার পর অফিসের প্রধান ক্লপসিপল গেটের তালাসহ সবকটি কক্ষের তালা ভাঙ্গাা দেখতে পাওয়া যায়।

ইট ভাটার মালিক আজিজুর রহমানের ছোট বোন বৃদ্ধ আয়শা খাতুনকে হাটের (বাজারের) পাহাড়াদাররা ডেতে তোলেন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন ভাটার অফিসের সব ঘরগুলোতে একসাথে আগুন জ্বলছে। আগুন নেভানোর পর তিনিও অফিসের প্রধান গেটসহ সব গুলো গেটের তালা ভাঙ্গা ও খোলা দেখতে পান।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদ জানান, ভাটার অফিসে আগুনের ঘটনায় জিডি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রহস্য উদ্ধারে পুলিশ সফল হতে পারেনি। তবে অপরাধি ধরা পরবেই।

তিনি আরও বলেন, দাহ্য পদার্থ ভাটারঅফিসের মধ্যেই ছিলো। বাইরে থেকে নিতে হবে কেনো। তবুও বিষটি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।