নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের পরিবারকে এমপির সহায়তা প্রদান

0
101

নিহতের স্ত্রী চাইলেন সুষ্ঠ বিচার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপরে হামলা ও গুলিতে নিহত জিয়ার হোসেনের (৪৫) পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া মোড়ে নিহত জিয়ার হোসেনের (৪৫) স্ত্রী রিনা খাতুনের হাতে সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ এ সহায়তা প্রদান করেন।

এছাড়াও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর ল্েয বিভিন্ন সময়ে সরকারি ও বে-সরকারিভাবে জিয়ার পরিবারকে সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। জিয়ার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের মৃত কেঁদো শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লেিগর কর্মী ছিলেন।

এসময় নিহত জিয়ার স্ত্রী রিনা খাতুন ও স্বজনরা সংসদ সদস্যের কাছে জিয়া হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা জিয়াদুল ইসলাম মিলন, জিয়া হত্যা মামলার বাদী ইয়ারুল আলীসহ প্রমুখ।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল খালেকের সাথে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্ব›দ্ব চলে আসছে। পদ্মানদীতে মাছ ধরা, যেকোন নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দু’প সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে গত ১২ জানুয়ারি সকালে বের কালোয়া মোড়ে দু’প আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। তার মধ্যে জিয়ার গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এঘটনায় গত ১৩ জানুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল হোসেন। এর আগে ২০২১ সালে একই স্থানে দু’পরে সংঘর্ষে ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সে সংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

মামলার বাদী ইয়ারুল জানান, ঘটনা যেভাবেই ঘটুক তিনি সুষ্ঠু বিচার চান। তিনি আর কোনো সংঘর্ষ চান না। তাঁর ভাষ্য, সংসদ সদস্য তাঁর ভাইয়ের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। এলাকায় শান্তির জন্য সংসদ সদস্যের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে চান।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন জানান, আধিপত্য বিস্তার ও নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পরে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরেই প্রতিপরে আঘাতে জিয়ার নির্মম মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

জিয়া হত্যার তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ জানান, অপরাধীরা যেদলেরই সমর্থক হোক, তাঁদের দেশের আইনে বিচার হবে। তিগ্রস্থ পরিবার যাতে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য নগদ দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে আরো সাহায্য সহযোগীতা করা হবে।