নো হেলমেট, নো ফুয়েল নীতির বাস্তবায়ন হচ্ছে না

0
65

কুমারখালী প্রতিনিধি

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেশকিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে “নো হেলমেট নো ফুয়েল”একটি। এ ঘোষনার আলোকে ফিলিং স্টেশন গুলোতে হেলমেট ছাড়া জ্বালানী তেল বিক্রি বন্ধ করার কথা। কিন্তু থেমে নেই হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রি। ফিলিং স্টেশনে দশ টাকা ভাড়াই মিলছে হেলমেট।

সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু ঠেকাতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগ অনেকটাই ভেস্তে যেতে বসেছে কুমারখালীতে। ফিলিং স্টেশন গুলো থেকে আগের নিয়মেই জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে। পেট্রোল পাম্প স্টেশন গুলো থেকে অবৈধভাবে প্লাষ্টিকের বড় বড় জারে (ড্রামে) পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। তেল নেওয়ার জন্য ধারে দেওয়া হচ্ছে হেলমেট। দুই একটি পাম্পে ১০ টাকা হলেই ভাড়াই দেওয়া হচ্ছে হেলমেট।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমারখালী পৌরসভা এলাকার মেসার্স শিপলু ফিলিং স্টেশনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হেলমেট ছাড়াই অনেক মোটরবাইক আরোহী জ্বালানী নিতে আসছেন। ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা প্রকাশ্যে হেলমেট সরবরাহ করছেন।

হেলমেট আদান-প্রদানের মাধ্যমে জ্বালানী তেল বেচাকেনা প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, পেট্রোল পাম্পের আশপাশের চায়ের দোকানীরা ১০ টাকায় হেলমেট ভাড়া দেওয়া শুরু করেছেন।

শনিবার সকালে মেসার্স শিপলু ফিলিং স্টেশনের পাশের একজন চায়ের দোকানী বলেন, কিছুদিন আমি দশ টাকায় হেলমেট ভাড়া দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে পাম্পের কর্মচারীরাই হেলমেট সরবরাহ করছেন।

অন্যদিকে, শহরের কাজীপাড়া এলাকার গাজী ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মচারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, হেলমেট ভাড়া আমরা কাউকেই তেল দিচ্ছি না। কিন্তু কেউ কেউ হেলমেট ছাড়া এসে তেল দিতে বলেন, আমরা দিতে রাজি না হওয়ায় হুমকি ধামকি দেয় এবং বলে আমাদের তেল নিতে হেলমেট লাগে না, তেল দে।

এ প্রসঙ্গে কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস জানান, আসলে পারিবারিক শিক্ষা ও সু-শৃঙ্খলার অভাবে ও কুসঙ্গের প্রভাবে মাধ্যমিকের গন্ডি অতিক্রম করেনি এমন কিশোরদের মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রæত গতিতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নো হেলমেট, নো ফুয়েল – নীতি ও মোটরযানের গতিসীমার প্রণয়ন নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পেলে অবশ্যই জনস্বার্থে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।