পল্লী বিদ্যুতের সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

0
61

কুমারখালী প্রতিনিধি

পল্লী বিদ্যুত সমিতির কুমারখালী জোনাল অফিস থেকে ছয় মাস ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটি, তাড়, ট্রান্সফরমার, মিটার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনই সরঞ্জামাদির নিতে আসা শতশত গ্রাহক ও ইলেক্ট্রিশিয়ানরা ফিরে যেতে বাাধ্য হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (বিআরইবি) কর্মকতাদের সমন্বয়হীনতা ও আন্দোলনের প্রভাব পরেছে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমকান্ডের উপর। বৈদ্যুতিক খ্ুঁটি, তাড়, ট্রান্সফরমারসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিআরইবি কর্তপক্ষ। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নতুন গ্রাহকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুতের কুমারখালী জোনাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি নেই। একজন গ্রাহক এক কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।

ওই গ্রাহক জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিটারের জন্য তিনি প্রায় ৬ মাস ধরে কার্যালয়ে ঘুরছেন। এলেই কর্মকর্তারা বলেন মালামাল নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় তিনি চরম ভোগান্তিতে আছেন।

আরও পড়ুুন – ঝিনাইদহে বিএনপি নেতার দোকান ভাংচুরের ঘটনা মামলা

পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আর কার্যালয়ে মালামাল সরবরাহ করে বিআরইবি। এতে নানান বৈষম্য ও সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সেজন্য বৈষম্য নিরোসনে প্রায় ৬ মাস আগে তারা আন্দোলন শুরু করলে বিআরইবি মালামাল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের বাসিন্দা পলাশ শেখ জানান, প্রায় চার মাস আগে বাড়ি ও দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ওয়্যারিংয়ের কাজ করিয়েছেন। কিন্তু অফিসে তাড় না থাকায় আজও বিদ্যুৎ পাননি তিনি।

ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. হুরাইয়া জানান, অন্তত ৪৫০ জন নতুন গ্রাহকের বাড়িতে তিনি ওয়ারিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে সরঞ্জামাদি না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাহকরা। তিনি দ্রæত সমস্যার সমাধানের দাবি জানান। তিনি আরও জানান, সরঞ্জামাদি না থাকায় উপজেলায় অন্তত দুই হাজার নতুন গ্রাহক ভোগান্তিতে রয়েছেন।

উপজেলায় এক হাজার ৪৬০ কিলোমিটারের জায়গা জুড়ে প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী পল্লী বিদ্যুত কার্যালয়ের ডিজিএম মো. আনছার উদ্দিন। তিনি জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে বিআরইবি মালামাল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এতে সেচ গ্রাহকসহ নানা শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।