দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
প্রণঘাতী করোনা ভাইরাস টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডাঃ সাবরিনা আরিফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তাকে তেজগাঁও থানায় পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
রবিবার ডাঃ সাবরিনাকে গ্রেফতারের পর ডিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সন্তোষজনক কোনো তথ্য দেননি।
আরও পড়ুন– খোকসায় নছিমন পুকুরে পরে ৩ গরুর মৃত্যু
ডাঃ সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে ডিসি হারুন বলেন, ‘আমরা তাকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করলাম, আপনি চেয়ারম্যান কিনা? উনি বলছেন, না আমি কখনই চেয়ারম্যান ছিলাম না। দ্বিতীয় কথা, আপনি তিতুমীর কলেজে (জেকেজির সঙ্গে কলেজ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের) সময় আপনি সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে কথা বললেন, জেকেজির মুখপাত্র হিসেবে, চেয়ারম্যান হিসেবে কথা বললেন। তখন তিনি (ডাঃ সাবরিনা) বললেন, আমার হাজব্যান্ড আমাকে এটা বলতে বলছে।’
ডিসি হারুন বলেন, ‘তারপর উনাকে আরও বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে, উনি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারে নাই। যার কারণে ওনাকে আমরা গ্রেফতার দেখিয়েছি। যারা নেগেটিভ তাদেরকে পজিটিভ আর যারা পজিটিভ তাদেরকে নেগেটিভ বানাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের মাঝে সংক্রমণ ঘটছে। মানুষকে প্রতারণা করছেন টাকার বিনিময়ে। বিদেশের মাটিতে আমাদের দেশের মানুষেরা গিয়ে যে ফিরে এসেছে। সবকিছু মিলেই আমাদের তদন্তে আসবে।’
ডিসি হারুন বলেন, তাকে গ্রেফতার করতে আমরা সময় নিচ্ছিলাম। কারণ, তিনি একজন ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তা।
সোমবার রিমান্ডে যদি তিনি আসেন তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের নমুনা নিয়ে যে, ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা করেছেন তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। রিমান্ডে আমরা সময় পাব, তখন বাকি তথ্যগুলো জানা সহজ হবে।
জেকেজির বুথে যারা কাজ করেন তারা আমাদের থানায় এসে ভাংচুর করেছেন, সেটা পুলিশ বাদি হয়ে মামলা হয়েছে। আর ওনি জেলহাজতে ঢুকে সিসিটিভি ভাংচুর করেছেন। এর জন্য তো আরেকটা মামলা আছেই।