পৌরসভার আবর্জনার ভাগাড় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

0
123

স্টাফ রিপোর্টার

খোকসায় গড়াই নদীর তীরের জনবসতীপূর্ণ এলাকা থেকে পৌরসভার আবর্জনার ভাগাড় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। কসায় খানা ও একাধিক ড্রেনের পয়নিষ্কাষনের বর্জ্যে নদীর পানি দূষনের প্রতিবাদও জানান তারা।

উপজেলা সদরের পৌর এলাকার প্রধান বাজারসহ বিস্তৃন্ন এলাকার নিত্যকার ময়লা আবর্জনা গড়াই নদী তীরের কালীবাড়ি এলাকায় ফেলা হয়। সেখান থেকে সৃষ্টি হচ্ছে বিকট র্দুগন্ধ। গত ৪ মাস আগে সেখানেই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আগুন দিয়েছে। সেখান থেকে নিগত ধোঁয়া আর গন্ধে কয়েক কিলোমিটার এলাকার মানুষের জীবন দুবিষহ হয়ে উঠেছে। নদী তীরে বর্জ্যরে বিশাল স্তুপের আবর্জনা ও পলিথিনসহ নানা ধরনের অপচনশীন দ্রব্য গড়াই নদীর পানিকে দূষিত করছে।

স্থানীয়দের জানায়, রৌদ্রের প্রখরতা বা বাতাস ঘুরলে বিকট গন্ধ, ভাগাড়ের আগুনের ধুঁয়া আর ছায় ছড়িয়ে পরে হিন্দু অধ্যুষিত কালিবাড়ি পাড়ার একাংশ জুড়ে। অনেক সময় গন্ধে অতিষ্ট হয়ে ভাতের থালা রেখে উঠে যেতে হয়। নাকে কাপড় বেঁধেও টেকা দায় হয়ে যায়। এছাড়া পৌর এলাকার পয়নিস্কাষনের একাধিক ড্রেনের মুখ নদীতে নামিয়ে দেওয়ায় নদীর পনি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে একাবাসীরা আর্বজনার ভাগাড় বন্ধের দাবিতে ভাগাড়ের পাশে মানববন্ধন করেন। তারা ভাগাড়ে যাবার রাস্তায় একাধিক সিমেন্টের খুটি পুতে দয়ে। এ ছাড়া তারা পরিচ্ছন্ন কর্মীদের গাড়ি ফিরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ভাগার বন্ধের দাবিতে পৌর মেয়রের সাথে দেখা করেন।
পৌর সভার আবর্জনার ভাগারের জমির মালিকের ছেলে এ্যাডঃ সুদিপ্ত সিংহ অন্তু বলেন, তাদের বাড়ি সংলগ্ন তাদের জমিতে পৌরসভা আবর্জনার ভাগাড় বানিয়েছে। গন্ধ আর দূষিত ধোঁয়ায় তাদের জীবন দুবিষহ হয়ে উঠেছে। তারা অনেকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিন্তু আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি। গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে ভাগাড়ে গাড়ি আনার রাস্তায় খুটি গেড়ে প্রতিবাদ করেছে।

তিনি আরো বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আবর্জনার ভাগাড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেই। প্রচন্ড তাপদাগের মধ্যে আবাসিক এলাকায় দিন-রাত আগুন জ্বলছে। ফলে অগ্নিকান্ডের বড় ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। এ ছাড়া ময়লার ভাগাড় শুধু নদী পারের বসবাসকারীদের জীবনকে ঝুকিপুর্ণ করে তোলেনি, গড়াই নদীর ভাটির কয়েকশ কিলোমিটার এলাকার পানি ও পরিবেশ দুষিত করছে। তিনি এই ময়লার ভাগাড় বন্ধের দাবি জানান।

 পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সন্তানেরর মা মিতা রানী ঘোষ এ ময়লার ভাগাড়ের সব থেকে কাছে বাস করেন। তিনি বলেন, গন্ধ থেকে বাঁচতে সারাদিন রাত নাকে কাপড় বেঁধে রাখতে হয়। মাঝে মাঝে ভাতের থালা রেখে পালাতে হয়। আবর্জনার ধোঁয়ার গন্ধে নিশ্বাস ফেলা যায় না। তার নিজের শ্বাস কষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই ছোট ছেলেটাকে একটু দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সারা দিন রেখে আসেন।

লিপি হালদার বলেন, তাদের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে কশাই খানা। পশু গুলো জবায়ের পর যথেষ্ট পরিস্কার করা হয়না। এর পর আবার বছর চারেক আগে এ ময়লার ভাগার বানানোয়। গন্ধ আর চোখ জ্বলা ধোয়ায় তাদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তার এর প্রতিকার চান।

পৌর সভার মেয়র তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, তিনি সরেজমিনে যাবেন। আবর্জনার ভাগার করার মত পৌরসভার নিজম্ব জমি নেই। পৌর তহবিল থেকে জমি কেনার টাকাও নেই। আলোচনা করে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।