স্টাফ রিপোর্টার
কুয়েত প্রবাসী স্বামীকে ফেসবুক লাইভে রেখে গৃহবধু গলায় ফাঁস নিলো। ফিরতি ফোন পেয়ে পাকা ঘরের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে সজ্ঞাহীন ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাংশার কলিমহর ইউনিয়নের ভাতসালা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রিয়াজ উদ্দিন রিকুর স্ত্রী কুলছুম (২৩) নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় কুলসুম তার প্রবাসী স্বামীকে লাইভে রেখে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রবাসী তার ভাই জিকুকে মুঠোফোনে স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা জানায়। পরিবারের লোকেরা পাকা ঘরের কাঁচের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে গৃবধূকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গৃহবধূর শ্বাষকষ্টসহ শারীরিক অবস্থার দ্রæত অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
গৃহবধূর বাবা মহিউদ্দিন নিজেও একজন ইতালি প্রবাসী। তার বাড়ি পাংশা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। দেড়বছর আগে পারিবারিক ভাবে কুলছুমের বিয়ে দেওয়া হয়।
প্রবাসীর বড় ভাই জিকু জানান, সন্ধ্যা ৬ টার পরা তিনি তখন স্থানীয় বাজারে ছিলেন। বিদেশ থেকে তার ছোট ভাই রিয়াজ উদ্দিন তাকে মুঠো ফোনে জানান, কুলছুম (স্ত্রী) নিজের ঘরে গলায় ফাঁস নিয়েছে। সে বাজার থেকে ফিরে ঘরের কাঁচের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। প্রথম থেকে গৃহবধূর সজ্ঞাহিন ছিল।
গৃহবধূর মা শিরিনা খাতুন জানান, ১৫ মাস আগে কুলছুমকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। জামাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলার সময় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে নাকি সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহিনা খানম জানান, গৃহবধধূর প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া সে সজ্ঞাহীন অবস্থায় আছে। তার শারীরিক অবস্থার দ্রæত অবনতি হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।