দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) একযোগে দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলতে যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পর শিশুদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কিভাবে চলবে স্কুল সে সংক্রান্ত ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শুক্রবার প্রাথমিক শিা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া ১৬ দফা নির্দেশনা বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীর বেশি বসা যাবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে,
১। দৈনিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে। শিার্থীরা শিকের তত্ত¡াবধানে নিরাপদ দূরত্ব রেখে নিজেদের আসনে বসে হালকা শারীরিক কসরত (পিটি) করবে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে পিটি করা থেকে বিরত থাকতে পারবে।
২। শিার্থীরা জিগজ্যাগ তথা জেড বিন্যাসে বসবে। প্রতি বেঞ্চে একজনের বেশি বসবে না। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একই শ্রেণিকে একাধিক গ্রুপে ভাগ করে একাধিক কে ও একাধিক শিকের সহায়তায় পাঠদান চালাতে হবে।
৩। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৪। পঞ্চম শ্রেণির শিার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সপ্তাহের ছয় দিন চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্য শ্রেণির শিার্থীরা সপ্তাহে একদিন আসবে।
৫। একই দিনে একই সময়ে সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির শিার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যবস্থা রেখে টিফিন বিরতি ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
৬। শ্রেণিক এবং শিার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে একাধিক শিফট কিংবা সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির বা সর্বোচ্চ দুটি শ্রণির পাঠদানের ব্যবস্থা রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপ হালনাগাদ পাঠ্যসূচি অনুসরণ করবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হলে, প্রাথমিক শিা অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে পাঠদান পরিকল্পনা নেওয়া যাবে।
৭। শ্রেণি কার্যক্রমে গ্রুপ ওয়ার্ক ও পেয়ার ওয়ার্কের মতো সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টিকারী শিখনকাজ আপতত বাদ রাখতে হবে।
৮। শিক্ষক মাস্ক পরেই ক্লাস নেবেন। শিক্ষার্থীদেরও মাস্ক পরা নিশ্চিত করবেন তিনি।
৯। কাস শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারিবদ্ধভাবে শিার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। সব শ্রেণিকে শিার্থীদের একসঙ্গে শ্রেণিক ত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না। শিকদের তত্ত¡াবধানে একের পর এক করে শিার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ করবে।
১০। একাধিক শিফটে কাস চললে, আগের শিফট ও পরের শিফটের কাস শুরুর মাঝে অন্তত ৩০ মিনিটের বিরতি রাখতে হবে।
১১। শিার্থীরা যার যার পানির বোতল নিয়ে বিদ্যালয়ে আসবে।
১২। শিার্থীদের শ্রেণিকে পাঠদানের পাশাপাশি ঘরে বসে শিখি, বাংলাদেশ বেতার ও সংসদ টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম, গুগলমিটের মাধ্যমে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম কাস রুটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অব্যাহত রাখতে হবে।
১৩। যে শিার্থী নিজে বা পরিবারের সদস্যদের কোভিড লণ বা আক্রান্তের কারণে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে না, তারা ঘরে বসে শিখি এবং অনলাইন পাঠদানে অংশ নেবে।
১৪। একই কারণে ওই শিক্ষার্থীকে কাসে অনুপস্থিত গণ্য করা যাবে না।
১৫। কোনো এলাকায় কোভিড সংক্রমণের হার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশিত বিপৎসীমা পার হলে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি তাৎণিকভাবে প্রাথমিক শিা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করবে।
১৬। প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রণালয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জারি করা নির্দেশিকা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রতিপালন করতে হবে।