বায়ুবাহিত করোনা সংক্রমণে কী করণীয়

0
111
World-Dro-30-p-6
প্রতিকী ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বায়ুবাহিত করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভিন্ন ধারণা পোষণ করেছেন।

সম্প্রতি ২৩৯ গবেষকের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের মুখে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জনবহুল, বদ্ধ জায়গায় করোনা ভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

তবে করোনা ভাইরাসের শুরুর দিকে মনে হতো যে, হাঁচি বা কাশির ফলে ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব। সে কারণেই মহামারীর শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়াকে অন্যতম একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন।

তবে সংস্থাটির কর্তারা বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের আশঙ্কা থাকতে পারে।

যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, ঘর বন্ধ কিংবা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই – সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে।

তবে ৩২টি দেশের ২৩৯ জন গবেষকরা এক খোলা চিঠিতে বলেছেন, করোনা ভাইরাস দীর্ঘসময় বাতাসে ভেসে থাকার মধ্য দিয়ে যে ভয়াবহ ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে; সে ব্যাপারে ডব্লিউএইচও যথাযথ সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ড্রপলেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ বা অ্যারোসল কণা দীর্ঘ সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। এটি কয়েক মিটার পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে। এটি যেসব ঘরে আলো-বাতাস কম বা বাসসহ অন্যান্য বন্ধ জায়গায় বেশি মারাত্মক হতে পারে। এমনকি এসব জায়গায় ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব রেখেও কোনো লাভ হয় না।

বিবিসি বলছে, একটি রোগ যেভাবে সংক্রমিত হয়, তার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় সেটির সংক্রমণ কীভাবে থামানো যাবে।

করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান গাইডলাইনে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তবে বিজ্ঞানীদের অনেকে এখন বলছেন যে এই কাজগুলো জরুরি হলেও বাতাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে শুধু এই পদক্ষেপগুলোই যথেষ্ট নয়।