দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেছেন, বিএনপি প্ল্যান করেছে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করতে। লন্ডন থেকে হাওয়া ভবনের চোরাও বলে খাজনা-ট্যাক্স দেবেন না। সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসেন। রাজপথে থেকে মোকাবিলা করেন। বিএনপির অবরোধ-ধর্মঘট কেউ মানে না বরং উল্টো জনগণ বিএনপিকেই অবরোধ দিয়ে দেবে।
শুক্রবার বিকালে নোয়াখালীর বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক পথসভায় তিনি একথা বলেন। এসময় বিএনপি পল্টন থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে পালিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি অলিগলিও খুঁজে পায়নি। তারা লালকার্ড খেয়ে খেলার মাঠের বাইরে চলে গেছে। বিএনপি এখন অবরোধ আর ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের অবরোধ ভুয়া, ধর্মঘট ভুয়া। বিএনপির ডাকা অবরোধে আর কিছু না হোক, রাস্তায় জ্যাম বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায়। মাঠে এক হাজার ৮৯৬ জন খেলোয়াড় আছে। ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা। যুক্তরাষ্ট্র বলে নির্বাচনে বাধা দিলে স্যাংশনস দেবে। আমরা কি নির্বাচনে বাধা দিচ্ছি?’ এসময় সবাই ‘না’ বলে সমস্বরে আওয়াজ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সংবিধান বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। স্বাধীনতার আদর্শকে রা করতে হলে আওয়ামী লীগকে মতায় আনতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।
নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা এমন নেত্রী গোপালগঞ্জে গেছেন গাড়িতে পতাকা লাগাননি। সিলেটে সরকারি কর্মকর্তারা রিসিভ করতে চেয়েছেন, সে সুযোগ দেননি। আমিও আজ গাড়িতে পতাকা লাগাইনি। নির্বাচনের আচরণবিধি কেউ ভাঙবেন না। ভাঙলে আইনি বাধার মুখোমুখি হবেন।
নিজ এলাকায় উন্নয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সাধ্য পরিমাণ এলাকার উন্নয়ন করেছি। সবশেষ ক্রসড্যাম অনুমোদন দিয়েছি। চাকরি কিছু হয়েছে, বাকিটা হবে। আমাদের ছেলেরা রিটেনে (লিখিত পরীায়) টেকে না; কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের ছেলেরা রিটেনে ভালো করে। আমাদের ছেলেদেরকে আরও পড়ালেখা করতে হবে।
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল প্রমুখ।