দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
সরকারের সমালোচনার নামে বিএনপি রাজনৈতিক হীন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রবিবার তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন ঘটনার প্রকৃত সত্য তুলে না ধরে তা টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা হিসাবে প্রচার করাও অপরাধ। সত্যতা যাচাই না করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণের কাজে অস্বচ্ছ কিছু হলে প্রকৃত সত্য যে কেউ তুলে ধরতে পারে। কিন্তু সেটিকে টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করাটা অপরাধের শামিল। যেকোন পদক্ষেপের সাথে যে কারোর একমত বা দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ রয়েছে।’ কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ও গণসমাজে বিভ্রান্তি তৈরির অপকৌশল উল্লেখ করেন এ নেতা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারী তথা দুর্যোগের এই সময় প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। এ কথা আমরা বারবার বলেছি। আমরা একথাও বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকবে। যারা অপপ্রয়োগ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ পর্যন্ত দেশে চার কোটি মানুষের মাঝে নগদ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া দলীয়ভাবে সারাদেশে নেতাকর্মীরা প্রায় এক কোটি পরিবারের মাঝে খাদ্য ও নগদ সহায়তা দিয়েছে
ত্রাণ চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অপরাধী দলীয় লোক হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের ৬১ হাজার ৫৬৯ জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। যে ক’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
কাদের বলেন, প্রায় এক কোটি ২০ লাখ বাঙালি প্রবাসে রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।