কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বিদেশী ফল সাম্মাম চাষে সফলতা অর্জন করেছে।
করোনা অতিমারির ফলে কলেজ বন্ধ। তাই বাড়িতে বসে অলস সময় কাটছিল না কলেজ ছাত্র নাইম ইসলাম খোকনের। প্রবাসী বড় ভাইেয়ের পরামশ্যে সে বিদেশী ফল সাম্মাম চাষে উদ্ভুদ্ধ হয়।
কৃষি অফিসের পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি ফল “সাম্মাম” সাম্মাম চাষ শুরু করেন। প্রথমবারেই সাম্মাম চাষ করে বেশ সাফল্যও পেয়েছেন।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোগতা নাইম প্রথম ৩৩ শতক জমি বর্গা নিয়ে সাম্মাম চাষ শুরু করেন।

কলেজ ছাত্র খোকন জানান, “কলেজ বন্ধ, তাই বাড়ীতে অবসর সময় কাটাচ্ছিলাম। বিদেশ থেকে ভাই ফোন দিয়ে এই সাম্মাম চাষ করা সম্পর্কে বলেন। আমি ইউটিউব থেকে এটি কিভাবে চাষ করে সেটা জানলাম। পরে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বগুড়ার একটি খামার থেকে এ ফলের চারা সংগ্রহ করি। সেই সাথে সেখানে গিয়ে চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।”
খোকন বলেন, “সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ। বর্হিবিশ্বে এর ফলের বেশ প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশে এটির প্রচলন খুব একটা নেই। এ ফলকে সৌদিতে সাম্মামসহ বিভিন্ন দেশে “রক মেলন”, “সুুইট মেলন”, “মাস্ক মেলন”, “হানী ডিউ” নামে পরিচিত। দুই জাতের এ ফল রয়েছে। একটি জাতের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল।

সে জানায়, বিঘাতে ৩ হাজার সাম্মাম গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২-৩টি করে ফল রয়েছে। বেশি ফল রাখলে ফলন কম হয়। প্রতিটি ফলের ওজন হয় দেড় থেকে দুই কেজি। প্রতিটি গাছেই ফল বেশ ভালো এসেছে। প্রথমবার চাষ করায় এক বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে এক লক্ষ টাকার মতো। আগামীতে এর চেয়ে খরচ কম হবে। নতুন জাতের রসালো ফল উৎপাদনের খবরে প্রতিদিন তার তে দেখতে আশপাশের কৃষকরা আসছেন। কেউ কেউ নতুন জাতের এই রসালো ফল উৎপাদনের জন্য খোকনের কাছ থেকে পরামর্শও নিচ্ছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন জানান, আধুনিক কৃষি গতানুগতিক কৃষিকাজের চেয়ে লাভজন। সাম্মাম বিদেশী ফল তবে আমাদের এখানেও চাষ করা সম্ভব।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, রক মেলন বা সাম্মাম বেদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এটির চাষ করা সম্ভব। মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া এলাকার একজন তরুণ এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে এ বছর এ ফলের চাষ করেছে। সে খুব ভালো ফলও পাচ্ছে।