কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অর্ধকোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দিলেও এতে কোন সাড়া না মেলায় বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নানা দেন-দরবার শেষে প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আশ্বাস মিললে আবারও সংযোগ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুন সংযোগ চালু করা হয়। চলতি জুন মাসের মধ্যে সমুদয় বকেয়া বিল পরিশোধ না করা হলে আবারও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো লি. (ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৪ নভেম্বর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর থেকে চলতি বছর ২৪ মে পর্যন্ত ৬ মাসে বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ টাকা। একইভাবে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি হাসপাতাল ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর থেকে সেখানে রোগী ভর্তিসহ চিকিৎসাসেবা চালু না হলেও এ ভবনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে বকেয়া বিল আদায়ে কুষ্টিয়া েেমডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই অন্তত কিছু বিল পরিশোধের মাধ্যমে সংযোগটি হালনাগাদ করা হবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে একটা সমঝোতা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো লি. কুষ্টিয়ার ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী জানান, ১নং সংযোগ নেওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিন দফায় লিখিতসহ মৌখিকভাবে তাগাদা দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করেনি। এজন্য বাধ্য হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে চলতি জুন মাসের মধ্যে সব বকেয়া বিল পরিশোধ করার শর্তে আবার সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, হাসপাতালের কিছু যন্ত্রপাতি সচল রাখতে কলেজ থেকে লাইন দেওয়া হয়েছিল। তাতে কলেজের মিটারে অতিরিক্ত বিল আসে। এই বিল পরিশোধ করতে একটু সমস্যা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যতদূর সম্ভব বিল পরিশোধ করা হবে।