বিলম্বে বিদ্যালয়ে আসা ৫ জন শিককে শোকজ

0
158

কুমারখালী প্রতিনিধি

তখন ঘড়ির কাটায় সকাল ৯ টা বেজে ৩২ মিনিট। তখনও একজন শিকও আসেনি বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। শিার্থীরা কেউ গাছের ডালে, কেউ খেলা করছে, কেউবা আছে শিকদের অপোয়। অথচ সকাল ৯ টার মধ্যে তাঁদের বিদ্যালয়ে আসার কথা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ২৭ নং মালিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ে হাজির হন উপজেলা সহকারী শিা কর্মকর্তা ফারহানা শবনম। তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পরে একে একে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিকসহ পাঁচজন শিক।

শিার্থী ও অভিভাবকদের ভাষ্য, কোনো স্যার ১০ টায়, কেউ ১২ টায়, কেউবা আসেন বেলা ১ টারও পরে। বিদ্যালয়ে ঠিকঠাক পাঠদান করায়না শিকরা। অধিকাংশ সময়ে শিার্থীরা বাগানে খেলাধুলা করে সময় কাটায়।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে ওই বিদ্যালয়ে পড়ে। মেয়ে প্রায় দিনই বাড়ি এসে আমাকে জানায় শিকরা ঠিকমতো আসেনা। কাশ হয়না। আমাদেরকে বাগানে গিয়ে খেলতে বলে। কেউই এই বিদ্যালয়ের খোঁজ খবর নেয় না। শিকদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

অভিযোগ স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ফিরোজ হোসেন বলেন, সকালে আবহাওয়া খারাপ ছিল। আর আমিতো ভ্যানে করে বিদ্যালয়ে আসি। সেজন্য আজ দেরি হয়েছে। তবে প্রতিদিনই ঠিক সময়েই আসি।

এদিকে সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় প্রধান শিকসহ পাঁচজন শিককে শোকজ করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিা কার্যালয়। শোকজ প্রাপ্তরা হলেন – প্রধান শিক ফিরোজ হোসেন, সহকারী শিক সামিউল আলম, আশরাফুল ইসলাম, উত্তম কুমার বিশ্বাস ও তানিয়া ফেরদৌস তুলি। তাঁদেরকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিা কর্মকর্তা ফারহানা শবনম বলেন, খবর পেয়ে ৯ টা ৫৫ মিনিটে বিদ্যালয়ে এসে দেখি কোনো শিক এসে পৌছেনি। অথচ তাঁদের ৯ টার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা। শিকদের বিরুদ্ধে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা শিা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় বিদ্যালয়ের সকল ( ৫ জন) শিকদের শোকজ করা হয়েছে। তাঁরা আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব দিবেন। সন্তোষজনক জবাব না পেলে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।