স্টাফ রিপোর্টার
পাতা ঝড়ানোর জন্য জমিতে জাগ দেওয়া পাট সরানোর সময় বিষধর গোখড়া সাপের কামড়ে আহত হন ৫৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মুরশিদা খাতুন। তিনি জীবিত সাপটি ধরে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরে পরিবারের লোকেরা ঘাতক সাপটিকে প্লাষ্টিকের কৌটায় আটকে রোগীসহ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বুধবার বিকালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংঘড়িয়া মাঠে কাজ করার সময় বৃদ্ধা মুরশিদা খাতুনকে বিষধর গোখড়া সাপে কামড় দেয়। তিনি সিংঘড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী। বিকাল ৫টার ৪০মিনিটে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। রোগীর চিকিৎসা শুরুর পূর্ব মুহুত্যে তাকে অন্যত্র নিয়ে যায় পরিবারের লোকেরা।
সাপেড় কামড়ে অসুস্থ বৃদ্ধার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধা মুরশিদা খাতুন জমিতে পাট সরানোর কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। তিনি বুঝতে পেরে সাপটির লেজ ধরে উচু করে ফেলেন। বিষধর সাপসহ প্রায় আধাকিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফেরেন। পরে অন্যদের সহয়তায় সাপটিকে প্লাষ্টিকের কৌটায় আটকানো হয়। আটক করা সাপসহ বৃদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হলে রোগীর পরিবারের লোকেরা উন্নত চিকিৎসার কথা বলে অন্যত্র নিয়ে যান। ধরা পরা প্রায় ২ ফুট লম্বা সাপটি রোগীর সাথে রয়েছে।
বৃদ্ধার দেবর হাফিজুলের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, তার রোগীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তখন তারা পথের মধ্যে ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মাহামুদুল হাসান জানান, বিষধর গোখড়া সাপসহ রোগীনিকে হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর লোকেরা কবিরাজি চিকিৎসার করানোর কথা বলে স্বেচ্ছায় রোগী নিয়ে চলে যায়।