দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও ডুবে যাওয়া ছোট লঞ্চটি পুরোপুরি টেনেও তুলতে পারল না উদ্ধারকারীরা। লঞ্চের ভিতরে আর কোনো মৃতদেহ আছে কিনা, সে বিষয়েও এখন অব্দি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে মঙ্গলবার উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে শোকের মাতম। কেউ বোন খুজছে, কেউ খুজছে ভাইকে, কেউ নদীকূলে বসে আছে প্রিয়জনের প্রতিক্ষায়। এমনি দৃশ্য ছিল বুড়িগঙ্গার চারপাশের এলাকা জুড়ে। মৃতপ্রায় দূষিত বুড়িগঙ্গা এমন ভয়ংকরী হতে পারে, তা সবারই ধারনার বাইরে ছিল। তীব ¯্রােত নেই, নেই আছড়ে পড়া ঢেউ। কিন্তু সেই শান্ত নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় কেড়ে নিল ৩৪ জনের প্রাণ।
লঞ্চডুবিতে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার সকালে মর্নিং বার্ড নামের ছোট্ট লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সকাল ৯টার কিছু সময় পর সদরঘাটের অদূরেই ময়ূর-২ নামের বিশাল একটি লঞ্চ পেছন দিয়ে সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই লঞ্চটি তলিয়ে যায়। কয়েকজন যাত্রী লঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও নারী ও শিশুসহ বেশিরভাগ যাত্রীই আটকা পড়ে মারা যান।
দুর্ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া লঞ্চে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয় ৩২ জনের লাশ। অভিযানের ১৩ ঘণ্টার মাথায় সোমবার রাতে লঞ্চটি টেনে তোলার সময় সুমন বেপারী নামে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। গতকাল ভেসে ওঠে দু’জনের লাশ। মৃতদের ৩২ জনই মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা।
আরও দেখুন দেখুন. যেভাবে লঞ্চটি ডুবে গেল
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হলেও দুপুর থেকেই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করবার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। পরে উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভার পর উদ্ধার কার্যক্রমের সমাপ্তি টানা হয়।