স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীর উপর ব্রিজ নির্মান কাজের উদ্বোধন কালে সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ব্রিজ শুধু প্রতীকি নয়। মানুষে মানুষে বন্ধন গভীর করতে কানেকটিভিটি বারাবে। এই ব্রিজ এলাকার কৃষি ও শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন। এ দেশের সিংহ ভাগ মানুষ খেটে খাওয়া কৃষক। কৃষকের মুখের দিকে তাকিয়ে যদি কিছু করা যায়। এই ব্রিজ শুধু নদীর দুই তীরের মানুষদের কাছে আনতে ভুমিকা রাখবে না। এলাকায় শিল্প বিপ্লবে সহায়ক হবে। গড়ে উঠবে শিল্প কল কারখানা।
প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান বিচারপতি একজন ব্রিটিশ মন্ত্রীর বাংলাদেশকে তলাবিহিন ঝুড়ি আখ্যা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অসখ্য মানুষের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে এ দেশে স্বাধীন হয়েছে। এ দেশের মানুষ হিসেবে আমাদের আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যেতে হচ্ছে না। দৌলতদিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কৃষি ও শিল্প বিপ্লবে গড়াই নদীর উপর নির্মিত সেতুটিও বিশেষ অবদান রাখবে।
সোমবার সকালে খোকসা-ওসমানপুরের সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করা হয়। এ উপলক্ষে খোকসা কালীবাড়ি মাঠে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া ৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব, এলজিইিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতাম রেজা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আমানুর আমান।
সকালে গড়াই নদীর তীরে খোকসা পৌর এলাকার ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগ স্থলে সাবেক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গড়াই সেতুর নিদ্ধারিত স্থানে ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
উল্লেখ্য, গড়াই নদীর উপর খোকসা-ওসমানপুরের মধ্যেকার সংযোগ ব্রিজটির প্রাথমিক নির্মান ব্যয়ধরা হয়েছে ২৭৭ কোটি টাকা। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ নির্মানের শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সাল পর্যন্ত। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।