দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
জন্মবৈরীতা আছে পাকিস্তানের সঙ্গে, পুরনো শত্রুর তালিকাতে রয়েছে চীন। এই দু’টি উপসর্গই যথেষ্ট ছিল ভারতের মাথাব্যথার জন্য। এবার মানচিত্র নিয়ে গোলমাল শুরু করেছে আরেক প্রতিবেশী নেপাল। ভারতের এখন চারিদিকে শত্রু। এদের সাথে নিজেদের যুক্ত করল ভুটানও। মিত্র দেশ ভুটান উজানে অভিন্ন নদী থেকে তাদের সেচের পানিও আটকে দিয়েছে। ফলে আঞ্চলিকভাবে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে ভারত।
সম্প্রতি কলকাতাভিত্তিক সংবাদপত্র দৈনিক আনন্দবাজারে প্রকাশিত চীন-ভারত দ্বন্ধ ইস্যুর এক প্রতিবেদনের জেরে এই পরিস্থিতি আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে।
নেপাল-ভারত সীমান্তে গন্ডক নদীর ওপর যে বাঁধ রয়েছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নেপাল বারবার বাধা দেওয়ায় বিহার সরকার এ ব্যাপারে দিল্লির জরুরি হস্তক্ষেপ দাবী করেছে।
পাশাপাশি আসামের বাকসা জেলার চাষীরা অভিযোগ করছেন, ভুটান তাদের সেচের জল আটকে দিয়েছে। ভুটান সীমান্তবর্তী আসামের বাকসা জেলাতে পঁচিশটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার চাষী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভুটান সরকার তাদের অভিন্ন নদীগুলোর সেচের জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, যে ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
এ বিষয়ে আসামের বাকসা জেলার ডেপুটি কমিশনার রঞ্জন শর্মা বলেন, এটা আসলে লকডাউনে ভুটান সীমান্ত সিল করে দেওয়ার কারণেই হয়েছে। আমাদের চাষীরা এতদিন অবাধেই সীমান্ত পেরিয়ে ভুটানের দিকে চলে যেতেন, তারপর ছোট ছোট নদীর ধারাগুলো সুবিধা মতো চ্যানেল কেটে নিজেদের চাষের ক্ষেতে সেচের জন্য নিয়ে আসতেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত এখানে শিথিল, দু’দিকের স্থানীয় লোকজন বিনা বাধাতেই এপার-ওপার যাতায়াত করেন, কাজেই কোনো অসুবিধা হতো না। কিন্তু এখন যে সমস্যাটা হচ্ছে, এই বিষয়টা আমি আমাদের লাগোয়া ভুটানের সামড্রুপ জোঙ্কার জেলার ডেপুটি কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টা দেখারও আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও দেখুন
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তার ওএমএস পাচ্ছেন করোনায় ঘরবন্দীরা
লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাত ও মানচিত্র নিয়ে নেপালের সঙ্গে বিরোদে দিল্লি আগে থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে। উত্তর সীমান্তের কোনো কোনো অভিন্ন নদীও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এনে হাজির করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঞ্চলিক ছোট দেশ’গুলোর প্রতি বন্ধুত্বের পরিবর্তে কর্তৃত্বের মনোভাব পোষণ করাই সম্ভবত ভারতের জন্য পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।
খবর সূত্র বিবিসি।