ভেড়া পালনেই ভাগ্য ফিরেছে জহর আলীর

0
174

স্টাফ রিপোর্টার

ভেড়া পালন করে পাঁচ বছরের বৃদ্ধ জহর আলী প্রামনিক তার ভাগ্য পাল্টে ফেলেছে। মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। সংসার চালিয়েও তার পালে ভেড়ার সংখ্যা বেড়ে অর্ধশত পার হয়েছে। পশু পালনের নিবন্ধন না থাকায় অসুস্থ পশুর চিকিৎসাসহ সরকারী সুবিধা তার ভাগ্যে মেলেনি।

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দার বৃদ্ধ জহর আলী প্রামানিক। যৌবনে স্থানীয় বাজারে কুলীর কাজ করতেন। বয়স হয়ে যাওয়ায এ পেশা ছেড়েছেন। এর পর কয়েক বছর শীত মৌসূমে খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় বানাতেন। বয়স বেড়ে যাওয়ায় এ পেশায় টিকতে পারেন নি। অবশেষে ৭০ টাকা হাজিরায় এক ব্যক্তির ভেড়া চড়ানোর দায়িত্ব নেন। অবশেষে সমিতির ঋণ ও নিজের গচ্ছিত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ১৩টি দেশী ও গাড়ল প্রজাতের ভেড়া কিনে পালন শুরু করেন। এখন তার পালে প্রায় ৫৪টি ভেড়া রয়েছে। যার আনুমাানিক মূল্য ৬ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

রবিবার দুপুরে খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভেড়া চড়ানোর সময় কথা প্রসঙ্গে জহর আলী জানান, যখন তার সংসারে প্রচন্ড অভাব। তখন তিনি অন্যজনের ভেড়া পালনের রাখাল হিসেবে কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে ভেড়া রোগ-বালাই সম্পর্কে অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। এ সময় পরিবারের লোকদের সহয়তায় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এই ব্যবসায় আসেন। তার পাল থেকে দেশী প্রজাতের ভেড়া কমিয়ে দিয়ে গাড়ল প্রজাতের ভেড়া বারানোর স্বপ্ন দেখছেন। গাড়ল প্রজাতের ভেড়া ১০ মাসে দুই বার বচ্চা দেয়। এ ছাড়া রোগ বালাই কম। গাড়লের বাচ্চার তিন মাস বয়স হলে প্রতিটি ১২/১৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়।

তিনি আরো জানান, সরকারী সহয়তা পেলে নিজে লোক রেখে ভেড়া পালনের পরিসর বাড়াতেন। ভেড়া পালন করে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ব্যবসার শুরুর দিকে ৮ জনের সংসার ছিল। খরচ বেশী ছিল। এখন সংসার ছোট হয়েছে কিন্তু নিজে আর পেরে দিচ্ছেন না। জীব পালন করতে পরিশ্রম আছে।

উপ সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মুস্তোফা নাসির জোয়াদ্দার বলেন, ভেড়া প্রজাতের পশু পালন করে অনেকেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। এ্ই প্রাণি পালন কারীদের কোন রেজিষ্টেশন লাগে না। যে কেউ গেলেই তারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া এদের জন্য সরকারী কোন সহায়তা প্রকল্প নেই।