ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়েছে

0
139

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর ট্রেনের সাথে মালবাহী ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মালবাহী ট্রেনের চালকের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

সোমবার দুপুর ৩টা দিকে ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার পয়েন্টে ঢাকা গামী যাত্রীবাহী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন পেছনের দুটি কম্পাটমেন্টের সাথে চট্রগ্রাম গামী মালবাহী ট্রেনের সামনের অংশের ধাক্কা লাগায় দুর্ঘটনা ঘটে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের কমপক্ষে ১৫ যাত্রী নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ফায়াির সার্ভীসের স্থানীয় এক কর্মকর্তা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার বলেন, এই দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ভৈরব থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। তাৎণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও র‌্যাব সদস্যরা উদ্ধার কাজে যোগ দেন।

প্রত্যদর্শীরা জানান, উল্টে যাওয়া বগির নিচে অনেক যাত্রী চাপা পড়েছে। এ ছাড়া রেললাইনের ওপর অনেকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, আহত অনেকে ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় মালবাহী ট্রেনটির স্টেশনের আউটারে থাকার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে স্টেশনে ঢুকে পড়ে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা জানান, এগারসিন্দুর গোধূলি ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পরপরই স্টেশনের আউটারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।