ভ্যান চালকদের ফ্রি লাইসেন্স দিলো ইউনিয়ন পরিষদ

0
63

কুমারখালী প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাইসেন্সহীন অটো ভ্যানচালকদের চাবি কেড়ে নেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কমপক্ষে ৩ শো চালককে ফ্রি লাইসেন্স প্রদান করেছে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধা সোয়া ৬ টায় যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চালকদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান।

জানা গেছে, সম্প্রতি গড়াই নদীর ওপর তেবাড়িয়া – হাসদিয়া পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণ করেছে বর্তমান সরকার।
সেতু হওয়ায় যদুবয়রাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ভ্যান চালকরা যাত্রী নিয়ে পৌর শহর, উপজেলা পরিষদ চত্বর, হাসপাতাল, থানাসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে। এসব ভ্যান চালকদের পৌরসভার লাইসেন্স না থাকায় সম্প্রতি কুমারখালী পৌর কর্তৃপক্ষ ইউনিয়নের চালকদের চাবি কেড়ে নেওয়া, অসদাচারণ, হুমকি, মারধরসহ নানান প্রকার নির্যাতন শুরু করে। এঘটনার প্রতিবাদে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়নে এসব ভ্যান চালকদের ফ্রি লাইলেন্স প্রদান করেছেন। প্রতিটি লাইসেন্সের মূল্য ২০০ টাকা।

ভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম জানান, শহরে প্রবেশ করলেই পৌরসভার লোকজন তাদের ভ্যান থামিয়ে ৫০০ টাকা দিয়ে লাইসেন্স করতে চাপ দেন। লাইসেন্স তিনি অস্বীকার করলে তাদের চাবি কেড়ে নিয়ে বসিয়ে রাখাসহ মারধর করা হত।

শরিফ নামের আরেক চালক জানান, লাইসেন্স না থাকায় প্রতিদিনই পৌরসভার কর্মচারীরা তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করেন। সেজন্য মিজান চেয়ারম্যান তাকে ফ্রিতে লাইসেন্স প্রদান করেছেন। এতে সব ভ্যানচালকরা ব্যাপক খুশি।

যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের নামে চালকদের উপর অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন ও জুলুম করছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ৩০০ জন চালককে বিনামূল্য লাইসেন্স দিয়েছেন। যাঁর প্রতিটির মূল্য ২০০ টাকা।

তিনি আরো জানান, পৌরসভার মধ্যে তিন ও চার চাকার যানবহন ঢুকলেই বিভিন্ন বেনামি সিলিপ দিয়ে চাঁদা আদায় করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এগুলো বন্ধের জন্য তিনি স্থানীয় এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম রফিক। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভায় যানবাহন চলতে হলে লাইসেন্স করতে হবে। এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ প্রহণ করবেন।