দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের তারা হিরো আলমকে পর্যন্ত সহ্য করতে পারছে না। হিরো আলম ভোটকেন্দ্রে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তাকে মাটিতে ফেলে মারধর করেছে। বাংলাদেশে করুণ তামাশার চিত্র তৈরি করেছে।
সোমবার বিকালে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, শুধু ভোটের অধিকার নয়; দেশ ও সার্বভৌমত্ব রার জন্যই তারা যুদ্ধ করছেন। এ যুদ্ধেরই একটা অংশ তারুণ্যের সমাবেশ। আওয়ামী লীগকে মতা থেকে না সরালে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকবে না।
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। দুপুর ২টা থেকে মূল সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকেই নেতাকর্মী জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে এবং গেঞ্জি-ক্যাপ পরে জড়ো হয়। তারা গান, কবিতার পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির ¯েøাগানে মাতিয়ে রাখে সমাবেশ। আসার পথে ডুমুরিয়া, রূপসাসহ কয়েকটি স্থানে বাস আটকে দেওয়া হয়েছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশটাকে তারা বাবার সম্পত্তি মনে করে। শুধ বিএনপি নয়; ৩৬টি দল মিলে একসঙ্গে বলেছি আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। পরিষ্কার কথা- নিরপে সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাব না। ন্যাড়া বারবার বেল তলায় যায় না। শিয়ালের কাছে কেউ মুরগি বর্গা দেয় না।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ মানুষকে বিপদে রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার মেয়র ফজলে নূর তাপস বিদেশ সফর করছেন। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তিনি বলেন, আগে তারা লুটের টাকা বিদেশে পাচার করত। আর এখন সেই টাকা ফিরিয়ে আনলে তাদেরকে ইনসেনটিভ দেওয়া হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের মূল্য ২ থেকে ১০ গুণ বেড়েছে; সেদিকে তাদের খেয়াল নেই। তাদের খেয়াল লুটপাটে। সরকার দেশের সব পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে।
সমাবেশের প্রধান বক্তা যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আগামী দিনের আন্দোলনে রাজপথে থাকার জন্য তরুণদের শপথ পাঠ করান।
ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রমুখ।