কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) দু’গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘ দিনের চলে আসা বিরোধ অবশেষে নিস্পত্তি হয়েছে।
জানা গেছে, নানা বিষয়ের দ্ব›েদ্ব মিরপুরে হিজরাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এদের এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন নয়ন তারা। আর অপর গ্রæপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাহিদা আক্তার। দীর্ঘ দিনের এই বিরোধ মীমাংসার জন্য বিবাদমান এই দুই গ্রæপকে মঙ্গলবার মিরপুর থানায় ডাকা হয়। দুপুরে দুই গ্রæপের প্রায় দুই শতাধিক হিজড়া থানায় জড়ো হন। বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য থানায় আসেন মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ^াস। তারা দীর্ঘ সময় ধরে দুই গ্রæপের অভিযোগ শোনেন। পরে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দুই পক্ষের এলাকা ভাগাভাগি করে দেয়া হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান মিলিয়ে দেন দুই পক্ষকেই।
হিজড়াদের নেতৃত্বে থাকা নাহিদা আক্তার অভিযোগ করেন, অপর গ্রæপ শক্তিশালী হওয়ায় তাদের এলাকায় টিকতে দিচ্ছে না, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে। তারপর ওরাই আবার থানায় অভিযোগ করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরাও থানায় অভিযোগ করি।
অপর গ্রæপের নেতা নয়ন তারা বলেন, মূলত অর্থ আদায় এবং এলাকার দখল নিয়ে তাদের দুই গ্রæপের মধ্যে এই বিরোধ।
মিরপুর থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, অর্থের ভাগাভাগি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হিজড়াদের দুটি গ্রæপের এই বিরোধ দীর্ঘ দিনের। উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন থানায় বসে দুই গ্রæপের কথা শুনে তাদের পৃথক এলাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তারা দুপক্ষই সমাধান মেনে নিয়ে ভবিষ্যত্বে আর বিরোধে জড়াবেন না এই মর্মে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন এবং খুশি হয়ে এলাকায় ফিরে গেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, থানায় বসে দুপক্ষের দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়েছে। উভয় গ্রæপই সন্তুষ্টু চিত্তে সমাধান মেনে নিয়েছেন। ওদের দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধান করতে পেরে তিনিও খুশি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, হিজড়াদের বিরোধের জের ধরে ইতোপূর্বে একাধিকবার দুই গ্রæপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি এই বিরোধ চরমে পৌছায়। বিবাদমান দুই গ্রæপই থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও দায়ের করে।