মিরপুর হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগে দুর্নীতি

0
117
Kushtia-Dro-25-p-3-compressed
প্রতিকী ছবি

মিরপুর প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া মিরপুরের হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাতসহ নিয়োগে দূর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে একইভাবে সরকারী সকল নিয়মনীতি উপক্ষো করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন অভিযুক্ত দু’জন। পরে আংশিক অর্থ ফেরৎ দিয়ে দুর্নীতির দায়ও স্বীকার করেছিলেন তারা। এবারও বিদ্যালয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দপ্তরী নিয়োগ নিয়েও বাণিজ্য করছেন তারা।

স্কুলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন- দপ্তরি পদের জন্য আবেদন পরেছিল ৪টি, তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল তিনজন। এদের তিনজনের মধ্যে একজনকে বর্তমান কমিটির পাঁচ সদস্য নিয়োগর জন্য সুপারিশ করেন।

তিনি আরও দাবী করে বলেন, তাদের পরীক্ষা নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার ও কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তারাও স্থানীয় প্রার্থী রুবিনা খাতুন এর জন্য সুপারিশ করেছেন। বাকি দুই প্রার্থীর থেকে রুবিনার যোগ্যতা বেশি থাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিস বরাবর অভিযোগ করেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত, নিয়োগ বাণিজ্য করে সভাপতি শহিদুল ইসলাম লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে।

আরও দেখুন খোকসায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

এই নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, আমাদের হাতে নিয়োগ দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই, আমরা শুধু প্রার্থীর মৌখিক কথায় শুনে থাকি, নিয়োগ দেওয়া না দেওয়ার ক্ষমতা পুরোটাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির । আমরা শুধু একজন সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকি মাত্র।

এ ব্যাপারে হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদকে স্কুলে যেয়ে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়েও বন্ধ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগের এক প্রার্থী বলেন, আমার সাথে স্কুল কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের প্রথমে পাঁচ লক্ষ পরে আরও একলক্ষ বেশি বললেও আমি ছয় লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু রুবিনার স্বামী রতনের সাথে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয় এবং নিয়োগ প্রাপ্ত হন।