দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি কারামুক্ত হন বলে ভারপ্রাপ্ত কারাধ্য শাহজাহান আহমেদ জানান। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করতেন। সেখানে ‘সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুর্ণ করার অভিযোগে ২০২০ সালে খাদিজা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয় কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা ওই দুই মামলার এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম। মামলার দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। তখন থেকে কারাগারে ছিলেন এই শিার্থী।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর অধস্তন আদালতে খাদিজার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে। গত ১৬ ফেবব্রুয়ারি হাই কোর্ট তাকে জামিন দিলেও তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই আবেদনের পরিপ্রেেিত গত ১০ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে। পরে আদালত বিষয়টি চার মাসের জন্য মুলতবি করে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপরে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাই কোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকে।
এদিকে, সোমবার সকালে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে খাদিজাতুল কুবরা বলেন, আমার সাথে যেটা হয়েছে পুরোটাই অন্যায়। এর চেয়ে বেশি কিছু আর এখন বলতে চাই না। বিনা দোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম। এই মুহূর্তে বলার মত মন-মানসিকতা আমার নেই।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে ভেতরে খুব বেশি ভালো ছিলাম না। নামাজ পড়ে, রোজা রেখে আর লেখাপড়া করে সময় কাটিয়েছি। আজকে আমার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তাই এখান থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে পরীায় অংশগ্রহণ করব।