রাতের আঁধারে বিক্রি হচ্ছে পদ্মার তীরবর্তী ফসলি জমির মাটি

0
156

কুমারখালী প্রতিনিধি

দিনে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের ভয়, তাই রাতের আঁধারে নির্বিঘেœ পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের ছোট মাজগ্রাম ও কল্যাণপুর এলাকার চর এলাকায় রাতভর চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে দিনেই মাটির কেটে বিক্রি করা হতো। কিন্তু প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় এখন সন্ধ্যার থেকে সারারাত চলছে মাটি কাটা ও বিক্রির কারবার। দুটি ভেকু মেশিন দিয়ে প্রতি রাতেই মাটি কাটা হচ্ছে। আর ট্রাক, লড়ি ও লাটাহাম্বা পরিবহনে করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটা সহ বিভিন্ন এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা বলেন, শিলাইদহ ঘাট এলাকার আলী হোসেন এবং কল্যানপুর এলাকার শাহীন হোসেন মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অধিকাংশ মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে, শিলাইদহ মাজগ্রাম এলাকার জনৈক ইটভাটার মালিক জানান, তারা রাতে কারো কাছ থেকে মাটি কিনছেন না।তাদের প্রয়োজনীয় মাটি দিনেই সংগ্রহ করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরের এই জমিতে কলা, আঁখ, বাদাম, গম, খেসারি, মসুর সহ নানা ধরনের ফসল হয়ে থাকে তবুও একটি অসাধু চক্র জমির মালিকদেরকে অতিরিক্ত অর্থের প্রলোভন ( বিঘা প্রতি ১ ল থেকে ১ ল ২০ হাজার টাকা) দিয়ে মাটি বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ করছে।

স্থানীয় একজন শিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সারারাত ধরে মাটি টানতে অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। আর মাটিবাহী গাড়ির বিকট শব্দে এলাকার মানুষ ঘুমাতে পারছে না। অনতিবিলম্বে মাটি বিক্রির সাথে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সন্ধ্যায় ভেকু নামিয়ে মাটি কাটা হয় এবং ভোরে নদীর তীরের কলাবাগানের মধ্যে কিংবা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হয ভেকু মেশিন।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) আমিরুল আরাফাত জানান, শিলাইদহের পদ্মা নদীর তীরের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার খবর পেয়ে বুধবার ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু দৌড়ে পালিয়ে যাওার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে সময় মতো খবর পেলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং মাটি বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।