রাস্ট্রের জন্য যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাদের মনে রাখা দরকার – প্রধান বিচারপতি

0
147

খোকসায় স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন করা হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার

মুক্তিযোদ্ধারা যে সেক্রিফাইজ করেছেন। তাদের জন্য রিকগনাইজেশন প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার খোকসায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীকার আন্দোলন ভিত্তিক নির্মানাধীন স্মৃতিস্তম্ভ মুক্তির মন্ত্র’র উদ্বোধনী ফলোক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। হানাদারদের নির্মম নির্যাতন দেখেছেন। নিজের চোখে যে লাশ পরে থাকতে দেখেছেন তার স্মৃতি ভুলতে পারেন না। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামীরা যে সেক্রিফাইজ করেছেন। তাদের জন্য রিকগনাইজেশন প্রয়োজন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি জাতির জীবনে বাবরার আসে না। আমার ব্যর্থতা আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছে কিন্তু হানাদরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। আমার মনে হয় যারা মুক্তিযুদ্ধ অংশ নিয়েছেন তাদের জীবন সার্র্থক। বঙ্গবন্ধুর আগে এই বাংলা কবে বঙ্গালীদের দ্বারা শাসিত হয়েছে তা খুজে পাওয়া মুশকিল। শতবছর পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের মধ্যদিয়ে বাঙালী একটি স্বাধীন ভুখন্ড ও রাস্ট্র পায়। এই রাস্ট্রের জন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের মনে রাখা দরকার।

প্রধান অতিথি আফসোস করে বলেন, যখন যুদ্ধহয় তখন তিনি মাধ্যমিকের ছাত্র। অনেকবার যুদ্ধো যাবার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু বয়স অল্প হওয়ায় তাকে মুক্তিযুদ্ধে নেওয়া দেয়নি। যুদ্ধ করতে না পারাটা তার কাছে বড়ই আফসোসের বিষয়।

আলোচনা শুরুর আগে নির্মানাধীন স্মৃতিস্তম্ভ মুক্তির মন্ত্র’র উদ্বোধনী ফলোক উন্মোচন করেন পপ্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর মুড়াল সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জর্জ রুহুল আমিন, সাবেক বিচাপতি এএইচএম সামসুদ্দিন আহমেদ মানিক, পুলিশ সুপার এইচএম আব্দুর রকিব, ডা. আমান উল্লাহ আমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।

খোকসার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সুধিজনদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের জমিতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবোধায়ণে প্রায় ৫৩ ফুট লম্বা ও প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট উচু স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মানের কাজ চলছে। যার নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোিেট ৫৩ লাখ টাকা।

স্মৃতিস্তম্ভটিতে সন্নেবেশিত করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মুড়াল (মুর্তি), ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষন (কালো পাথরের উপর খুদাই করে মুদ্রিত), মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী শহীদদের নাম, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ যোগ্য ঘটনাবলি।