ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন কারী মিজানুর রহমান দলের কেউ নয় বলে দাবি করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির। সাংগঠনিক নিস্ক্রিয়তার কারণে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।
উপজেলার সুন্দরপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আলুকদিয়া গ্রামের প্রায় ৩৫ টি সংখ্যালঘু পরিবারকে জিম্মি করে তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কথিত সভাপতি মিজানুর রহমান। এ ঘটনা নিয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সরেনড়ে বসে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা।
শুক্রবার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহাদুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আলুকদিয়া গ্রামের নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলেন।
ভুক্তভোগীরা নিজেদের দুর্দশা ও নির্যাতনের বর্ণনাদেন প্রতিনিধিদলের কাছে। তারা জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বঘোষিত সভাপতি মিজানুর রহমান ও তার বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের সংখ্যালঘু নারীদের ইজ্জতসহ সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে। তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছেন কিন্তু কোন উপকার হয়নি। বরং নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহাদুর রহমান খোকন জানান, দলের নাম ভাাঙ্গিয়ে মিজানুর রহমান নামের যে লোকটি অপকর্ম করছেন সে আসলে দলের কেউ না। স্বেচ্ছাসেবক লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সংগঠন।
ঘটনাস্থল থেকেই এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক নিস্ক্রিয়তার কারণে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন জেলা কমিটির সভাপতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমান হিরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক খান জাহান আলী, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান উজ্জল, সদর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ।