সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা পুলিশ সদস্য মানসিক ভারসাম্যহীন

0
80

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের গার্ডরুমের সামনে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন কাউসার আলী নামের অপর এক পুলিশ সদস্য।

অভিযুক্ত কাউসার আলী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টারের ছোট ছেলে।

অভিযোগের বিষয়ে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাউসার (২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকরি জীবনের বছর পাঁচেক কাটিয়ে ২০১০ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে সরকারী ভাবে কয়েক বার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

অভিযুক্ত কাউসার মাদকাসক্ত কিনা জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী অস্বীকার করে বলেন সে মানসিক রোগে আক্রান্ত। মাঝে মাঝে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তেন তবে মাদকের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। তবে চার-পাঁচ দিন ধরে পরিবারের সাথে কম কথা বলতেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

কাউসারের বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা মাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে এমনিতে খুব ভালো। তার মাথার সমস্যা আছে সে চাকরিতে যোগদানের পর অসুস্থ হয়। তার সাথে আমার শনিবার রাত ৮ টায় শেষ কথা হয়। আমার সাথে ভালো ভাবেই কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে জিজ্ঞেস করে। তবে কয়েকদিন ধবে বাড়িতে একটু কম কথা বলতো আমার ছেলে।

এবিষয়ে তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথি বলেন, আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। তিনি মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যেতেন। তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজ পত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। আমাদের পারিবারিক ভাবে কোন সমস্যা ছিলো না। যখন মানসিক সমস্যা শুরু হতো তখন পরিবারের সদস্যদের সাথে কম যোগাযোগ করতেন এবং কথাও কম বলতেন।

কাউসারের প্রতিবেশী দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বলেন কাউসার চাকরিতে যোগদানের ৫ বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরবর্তীতে তার চিকিৎসা করানোর পরে সুস্থ হলে আবার চাকরিতে যোগদান করেন তিনি।