সাপের কামড়ে অসুস্থ শিশুকে বাঁচানো গেলো না

0
65

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিষাক্ত কালো কেউটে সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পরা শিশুকে বাঁচানো গেলো না।

শিশুটির নাম সোয়াদ ইসলাম (৫)। সে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী চৌপাড়া গ্রামের সুখ চাঁদের ছেলে।

দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহি জানান, সোয়াদ তার বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল। বুধবার ভোর রাতে ঘুমের মধ্যে সোয়াদকে কিছু একটা কামড় দেয়। এ সময় শিশুটি টের পেয়ে চিৎকার করলে বাবা-মা ঘুম থেকে জেগে পাশেই একটা কালাচ বা কালো কেউটে সাপ দেখতে পাই। এ সময় বাবা সুখ চাঁদ ঘরের ভেতরে থাকা হাসুয়া দিয়ে সাপটিকে কোপ দিয়ে মেরে ফেলে। শিশুটিকে দ্রæত দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় ওই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এন্টিভেনম প্রয়োগ চলছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, কালাচ বিষধর সাপ। চিকিৎসা দ্রæত শুরু করা হয়। মূলত হাসপাতালে আনতে দেরি হওয়ায় শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এর আগে গত বছরের ২৪ আগষ্ট কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ভবানিপুর এলাকায় ঘুমের ঘোড়ে কালাচ সাপের কামড়ে আয়েশা খাতুন (২৫) ও তার ৭ মাস বয়সী মেয়ে নুসরাত জাহানের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা একই গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী ও মেয়ে।