স্টাফ রিপোর্টার
ছাত্রীর সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা পেলো এক প্রাথমিক শিক্ষিকার পরিবার। রক্ষা পেলেন শিক্ষিকার শয্যাসায়ী বৃদ্ধা মা।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা সদরের কলেজ পাড়ার প্রধান শিক্ষিকা মায়া রানী বিশ^াসের বাড়ির রান্না ঘরে রবিবার দুপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের হুজ পাইপ খুলে যায়। জানালা বন্ধ রান্না ঘরটির ভিতর মুহুত্যের মধ্যে গ্যাস ছড়িয়ে পরে। সশ^দ্বে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নিগত হতে থাকে। ভিতু সন্ত্রস্ত্র হয়ে পরে বাড়িতে উপস্থিত শিক্ষার একমাত্র বোন রিনা রানী।
এ পর্যায়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে মোড়ে চিৎকার করে ঘটনাটি জানান। খবর শুনে শতাধিক নারী পুরুষ ঘটনা স্থলে এগিয়ে যায়। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুত অফিসে খবর জানো হয়। এ সময় এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরা তিন ছাত্রী উৎসুক জনতার সাড়িতে সামিল হন। তাদের ভিতর থেকে একজন রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। ঘটনাটি অনুধাবণ করেই ওই পরীক্ষার্থী মাসুমা খাতুন গ্যাস সিলিন্ডারের চাবিটি বন্ধ করে দেন। পরে সে নিজে রান্না ঘরের বন্ধ জানালা দরজা খুলে দেন।
সাহসী পরীক্ষার্থী মাসুমা গ্যাসের সিলিন্ডারের চাবি বন্ধ করার কিছু সময় পর খোকসা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনা স্থালে পৌচ্ছায়।
মাসুমা খাতুন খোকসা ডিগ্রী কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনি তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এই অভিযানে অংশ নেয়। তার বাড়ি উপজেলা পরিষদের পেছনে। সে এসএম সোহরাব হেসেনের মেয়ে।
এ দুর্ঘটনার সময় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মায়া রানী বিশ^াস তার কর্মস্থলে ছিলেন। রান্না ঘরে সংলগ্ন ঘরে ছিলেন তার শর্যাসায়ী বৃদ্ধা মা আশা লতা রানী (৮৪)।
মাসুমা আক্তার জানান, হুহু শব্দ করে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেড় হচ্ছিল। বন্ধ রান্না ঘরটির মধ্যে গ্যাসের গন্ধে যাওয়া যাচ্ছিল না। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নির্গমন বন্ধ করাটাই ছিল কঠিন। কিন্ত দরজার কাছাকাছি সিলিন্ডার থাকায় কাজটি তার জন্য সহজ হয়েছে। তার অনেক সহপাঠি ও স্থানীয়রা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেন নি।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মায়ারা নারী বলেন, দুর্ঘটনা ঘটলে তার শয্যাসায়ী ও বোন রিনা রানী দুজনেই দগ্ধ হয়ে মারা যেতে পারতেন। জীবনের ঝুকি নিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাত্রীটিকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ঘটনা স্থলে উপস্থিত খোকসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রওশন আলী ছাত্রীর ছাহসীকতা ও বুদ্ধি মত্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।তিনি বলেন পরিবারটি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো।