সাহেদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকার

0
119
card-Dro-19-7-p-18
সাহেদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ দৈনিক পত্রিকা খুলেছিলেন। তথ্য অধিদপ্তর থেকে তিনি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছে সরকার।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, “আমাদের নীতিমালাতেই বলা আছে, যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে ধরা পড়ে তাহলে তার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।

আরও দেখুন-অজানা রোগেই খেলো পান চাষীদের

“যেহেতু তিনি প্রতারণার মামলায় আটক হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন, তাই তার কার্ডটি বাতিল করা হয়েছে।”

সম্প্রতি প্রতারক সাহেদ দৈনিক নতুন কাগজ নামে একটি পত্রিকা খুলেছিলেন । তিনিই ছিলেন সেই কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক। সে হিসেবেই তথ্য অধিদপ্তর থেকে তিনি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেয়েছিলেন।

তবে বিতর্কিত এই ব্যবসায়ীকে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে আটক করে র‌্যাব। রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় এখন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।

জানা যায়, এমএলএম ব্যবসায় লোক ঠকানো বাদেও সাহেদের বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক ডজন মামলা । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম নিয়ে প্রতারণা করা এই ব্যক্তিকে এর আগেও কারাগারে যেতে হয়েছে। কেবল রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে নয়, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকেও বিভিন্ন সময়ে তার আনুকূল্য পাওয়ার তথ্য আসছে এখন।

সাহেদকে হরহামেশাই অতিথি করে আনা হত টেলিভিশনের টক শোতে। অনেক সাংবাদিক তার প্রশংসায় ফেইসবুকে পোস্ট দিতেন। তার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কয়েকজন সাংবাদিককেও এখন সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

আরও দেখুন–খোকসার ভ্যান চালক নিজের টাকায় গড়ে দিলেন সেতু

সচিবালয়ে যাদের অফিস, তাদের আইডি কার্ড দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে হয়। এর বাইরে গণমাধ্যমকর্মীদের আলাদা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে হয়।

গণমাধ্যমকর্মীদের ‘স্থায়ী’ ও ‘অস্থায়ী’- দুই ধরনের কার্ড দেয় তথ্য অধিদপ্তর। স্থায়ী কার্ডের মেয়াদ থাকে তিন বছর আর এক বছর মেয়াদে দেওয়া হয় অস্থায়ী কার্ড।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ জানান, সাহেদের নামে অস্থায়ী কার্ড ইস্যু করা ছিল, যার মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।