সিজারের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলা হলো

0
158
CHADUNGA-DROHO- 3 JUN-P5

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে সিজার করার সময় প্রসূতি মায়ের সাথে নাবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পর নবজাতক মারা গেছে।

প্রসূতি মায়ের সাথে গর্ভের সন্তানের পেট কেটে ফেলার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজু গ্রামের সাগর আলীর সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী রুমা খাতুনের প্রসব বেদনা ওঠে। তাকে আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দুপুরে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নাজমুল হক প্রসূতির সিজার করে। এ সময় প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে গর্ভের সন্তানের পেটও কেটে ফেলে হাতুরে ডাক্তার।

প্রসূতির স্বামী সাগর আলী জানান, মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি ছিল একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনকে দিয়ে সিজার করাবেন। কিন্তু তারা একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়ে অপারেশ করান। সিজারের সময় নবজাতকের পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলা হয়। ওই অবস্থায় তারা শিশুটিকে গোপন কক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে। অনেক অনুরোধের পর অসুস্থ্য নবজাতককে মায়ের কাছে দেয়া হয়। রাতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে নেয়া হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন- সদ্য ভুমিষ্ঠ শিশুকে কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব নয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। একদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়।

ইউনাইটেড ক্লিনিক সেন্টারের মালিক উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নাজমুল হক বলেন, তিনি নন, প্রসূতির সিজার করেছেন ডা. বিপাশা। জন্মের সময় ত্রুটির কারণে শিশুর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসে। এটা ডাক্তারের ত্রুটি নয়। এখানে কারও কিছু করার ছিল না।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এসএম মারুফ হাসান বলেন, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।