ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সৌদি আরবে নিহত গৃহকর্মী ছাবিনা খাতুন (২৪) নামে এক প্রবাসী গৃহবধুর লাশ পাঁচ মাস পর স্বজনদের কাছে এসে পৌচ্ছেছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাথপুকুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ ছাবিনা খাতুনের স্বামীর নাম রুবেল মিয়া। নিহত গৃহবধূ দুই কন্যা সন্তানের মা।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ছাবিনার লাশবাহী গাড়িটি বাথপুকুরিয়া গ্রামে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কান্নার রোল পড়ে যায়।
ছাবিনার স্বজনরা জানান, গতবছর ২২ সেপ্টম্বর গৃহকর্মীর কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমায় ছাবিনা। নিজের পরিবারের সচ্ছলতা ও স্বামী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি প্রবাসে গৃহকর্মীর কাজ নেন। কিন্তু কাজে যোগদানের তিনদিনের মাথায় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। বলা হয় উচ্চ ভবন থেকে পড়ে ছাবিনা মারা গেছে।
পরিবারের অভিযোগ, তার মৃত্যু রহস্যজনক। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে ভবন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হতে পারে। আবার নির্যাতনের শিকার হয়ে উচু ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।
ছাবিনার মা শিলা খাতুন জানান, বাথপুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের পালিত ছেলে দালাল রফিকুলের মাধ্যমে সৌদি আরবে যায় ছাবিনা। ঢাকার মগবাজার এলাকার তিশা ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফারুক হোসেন ছাবিনাকে সৌদি যেতে সহায়তা করেন। সৌদি পৌছানোর পর মালিকের বাসায় গিয়ে ছাবিনা চুক্তি মোতাবেক কাজ না পাওয়ার কথা পরিবারকে জানান। পরিবারের ধারণা মালিকের কু-প্রস্তাব বা পাশবিক নির্যাতনে রাজি না হওয়ায় ছাবিনাকে ৮ তলা ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর হোসেন জানান, দালাল রফিকুল মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ছাবিনাকে বিদেশ পাঠায়। সেখানে আসলে কি কান্ড ঘটেছে তা আমাদের অজানা। তবে ছাবিনার মৃত্যুর পর দালাল ও আদম ব্যবসায়ীরা পরিবারকে দুই লাখ টাকা দিয়েছে বলে শুনেছি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দিন জানান, বিষয়টা আমি শুনেছি। যদি কেউ অভিযোগ করেন, তবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।