কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া শহরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও দুই কন্যা শিশুকে মারপিট করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মামুন আলী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাদেরকে গুরুতর আহত করে মামুন আলী নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মামুন, তার স্ত্রী মেঘলা, চার বছর বয়সী কন্যা শিশু কুলসুম ও দেড় বছর বয়সী কন্যা শিশু জান্নাত।
এ বিষয়ে মামুনের পরিবার, স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, মামুনের স্ত্রী মেঘলা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। এর জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে এবং কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মামুন। পরে দুই কন্যা শিশুকে আছাড় মারে। এতে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হয়। এরপর মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
প্রতিবেশী স্বপ্না খাতুন বলেন, মামুনের স্ত্রী পরকীয়া করতো। পরপুরুষের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। কয়েকদিন আগে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপর আবারও ফিরে আসে। এরপর স্বামীর সাথে সংসার করছিলো। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই মামুন তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। একই সাথে দুই শিশু মেয়েকে আছাড় মারে এবং মারপিট করে। এরপর মামুন নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হোসেন ইমাম জানান, মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।
আরও পড়ুন – তালশাঁস
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। চারজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।