স্টাফ রিপোর্টার
হারিয়ে যাওয়ার ২৫ বছর পর নিজের ঠিকানা মনে করতে পেরেছেন মানষিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ফরিদ (৬৫)। গুগলের মাধ্যমে তার দেওয়া ঠিকানায় পরিবারের সন্ধান নিশ্চিত হওয়া গেছে। ছেলেরা তাকে নিতে মঙ্গলবার খোকসায় আসছেন।
খোকসা-শোমসপুর সড়কের উপজেলা সদরের কলুপাড়ার মোড়ে মানষিক ভারসাম্যহীন ফরিদ এক টানা ১০ বছর আছেন। বয়সের ভারে মাঝে মধ্যে অসুস্থ্য হয়েও পরেন। সম্প্রতি তার আশ্রয় হয়েছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় কাটে তার দিন। কারো সাথে কোন কথা হয় না তার। অকেনটা শান্ত প্রকৃতির।
গত দুইদিন আগে কৌতুহল বসে খোকসা জানিপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মানষিক ভারসাম্যহীন ফরিদের কাছে পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। আধো আধো উচ্চারণে নিজের গ্রাম, পিতার নাম, ভাই, সন্তান ও স্ত্রীর নাম ঠিকানা জানান।
অতিউৎসাহি হয়ে গুগল এ্যাপসের সহায়তায় ফরিদের দেওয়া ঠিকানার সন্ধ্যান পেয়ে যান ওই শিক্ষক। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের এক হোটেল মালিকের মোবাইল নম্বর উদ্ধার করে কথা বলেন তিনি। তার মাধ্যমে উপজেলার লক্ষীদোলা গ্রামে ফরিদের পরিবারের লোকদের সাথে যোগাযোগ করেন। ছবি পাঠানো হলে পরিবারের সদস্যরা ফরিদের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
মানষিক ভারসাম্যহীন ফরিদের বড় ছেলে শুকুর আলীর সাথে ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, নদী ভাঙ্গনে সর্বহারা হয়ে তার বাবার মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। ২৫ বছর আগে হঠাৎ করে তারা বাবা নিখোজ হয়ে যায়। ফরিদের আরো দুই ছেলে ও স্ত্রী বেঁচে আছেন। তারা মানষিক ভারসাম্যহীন ফরিদকে উদ্ধারের জন্য তারা খোকসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, গুগল এর বদান্যতায় মানষিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষকে তার পরিবারের ঠিকানা নিশ্চিত করতে পরে তিনি খুশি হয়েছেন। মঙ্গলবার হয়তো পরিবারের সদস্য আসবেন। ২৫ বছর পর সন্তানরা তার বাবাকে পাবেন। এর জন্য তাকে মাত্র ২ ঘন্টা ব্যয় করতে হয়েছে।