ফেব্রুয়ারীতে বার্ষিক পরীক্ষা হতে পারে

0
129

 

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

করোনার প্রকপরোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চলতি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অপুরনীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে। অবশ্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নীতিনির্ধারকরা দুটি বিকল্প পথের কথা ভাবছেন। সব ছুটি বাতিল করে নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা। অথবা চলতি শিক্ষাবর্ষকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বর্ধিত করে বার্ষিক পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করা।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা, প্রতিটি শ্রেণির সিলেবাস তৈরি করা হয় ওই শ্রেণির নির্ধারিত দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। সিলেবাস যদি কমানো হয় তাহলে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন সম্ভব হবে না। তাড়াহুড়ো করে সিলেবাস শেষ করা হলে অনেকের পরীক্ষার ফল খারাপ হতে পারে। এ সব বিশেষজ্ঞরা চলতি শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়ানোর পক্ষে কথা বলছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এনসিটিবির শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞরা প্রথম বিকল্পের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। প্রয়োজনে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীতে সিলেবাস শেষ করার পক্ষে মত প্রকাশ করে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি নির্ধারণ করতে কয়েকটি সভা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। মূলত শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে দুটি প্রস্তাব এসেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, অনির্ধারিত ছুটি পুষিয়ে নিতে আমরা কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বিষয় গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। রোজা ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।