দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
ঘন্টা বারো’র ব্যবধানেই দ্বিতীয়বার কেঁপে উঠল চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকা।
সোমবার ভোর ৪টা ২২ মিনিটে ৩৭ সেকেন্ডে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার মাঝারি ধরনের এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
তবে এর আগে রবিবার বিকাল ৪টা ৪৭ মিনিটে ৫.১ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়িত্ব ছিল আঘাত হানা এ ভূমিকম্পটির । ভূমিকম্প দুটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যে। ফলে চট্টগ্রাম ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার মিজোরামে ৫ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
তবে চলতি বছরের ২৫ মে রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে আরও একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল । ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃদু হালকা কিংবা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইঙ্গিত বহন করে।
চুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের এক জরিপ অনুযায়ী, ভূ-স্তরের টেকটোনিক প্লেট ফাটলের কারণে ইউরেশিয়া ও ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের ভূমিকম্পের জোনের মধ্যেই রয়েছে চট্টগ্রাম। এ প্লেট দুটি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণে ঘন ঘন হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের গবেষণা বলছে, ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, ঢাকা ও কুমিল্লা বেল্ট বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। টেকটোনিক প্লেটের একটি ফাটল বা ফল্ট লাইন চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল হয়ে আন্দামান পর্যন্ত চলে গেছে। অনেকগুলো ভূ-ফাটল লাইন, ভূমিকম্পে উৎসস্থল চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কাছাকাছি অবস্থানে সক্রিয় রয়েছে।