কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের উপ সহকারি পরিদর্শকসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পরে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের উপ সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) ফরিদ, শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে ফারুক (৩৮) ও আতিয়ার রহমানের ছেলে রাশিদুল হককে (৩৫) কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রভাষক আলী ও তোফাজ্জেল গ্রæপের সাথে জাফর ও লিটন গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে গত ৪ এপ্রিল প্রতিপক্ষ আরিফকে বেধরক মারপিট করে। এ নিয়ে দুইদিন পর গত ৬ এপ্রিল উভয় প সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পরে ১৫ থেকে ২০ টি ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয়প থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীরা সবাই বর্তমানে জামিনে জামিনে রয়েছেন।
এক পর্যায়ে বুধবার সকালে উভয় পরে সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিব হাসান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পরে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে থানায় দুইটি মামলা রয়েছে। বুধবার সকালে হঠাৎ দুই পক্ষ বাড়ি ভাংচুর শুরু করে এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।