কুমারখালী প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ওয়াজ মাহফিলের নেতৃত্ব নিয়ে দুই গ্রæপের দ্বন্ধের জেরে এক জামায়াত কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত জামায়াত কর্মীর নাম নাইমুজ্জামান সুমন (৩২)। তিনি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের পরানপুর প্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিবিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন আহতের বাবা বিএনপি কর্মী মনিরুজ্জামান। পরে দুজনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আটকরা হলেন – একই গ্রামের দ্লুাল বিশ্বাস (৪৫) ও মিজানুর রহমান (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবছর পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে আসছে এলাকাবাসী। এতোদিন মাহফিল পরিচালনা করতেন যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মালেক (৪০) ও তাঁর সমর্থকরা। তবে এবছর ওয়াজ মাহফিলের নেতৃত্ব দিতে চেয়েছেন বিএনপির কর্মী অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মসিরুজ্জামান। এ নিয়ে গত বুধবার রাতে এনায়েতপুর বাজারের বিশ্বাস ফার্মেসির পাশে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা – কর্মী ও সমর্থকরা আলোচনায় বসেন।
তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা মালেক ও তাঁর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হামলায় জামায়াত কর্মী সুমন আহত হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন বলেন, বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের প্রস্তুতিমূলক আলোচনায় আওয়ামী লীগ নেতা মালেক ও তাঁর সমর্থক খালেক, মিজান, দ্লুাল, আমিরুলসহ প্রায় ৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে। মাথায় সাতটি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। আমি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
মামলার বাদী মনিরুজ্জামান বলেন, ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের লোকজন ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। আমি থানায় মামলা করেছি।
আরও পড়ুন – খোকসায় সমাজসেবা দিবস পালিত
এদিকে ঘটনার পর পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক ও তাঁর সমর্থকরা। সেজন্য তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন – চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন ৯.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায়
কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সায়েম বলেন, ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় মামলার পর দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।