কুমারখালীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

0
99
নিহত তানজিল শেখ। ছবিটি ফেজবুক থেকে সংগৃহীত

জুয়া খেলা কেন্দ্র করে দুই অভিভাবক খুন

কুষ্টিয়া ও কুমারখালী প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আরেক বন্ধুর বিরুদ্ধে।

শনিবার বিকালে পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জুয়া খেলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই অভিভাবক খুন হয়।

নিহতের নাম তানজিল শেখ (২০)। তিনি পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসী গ্রামের মনিরুল শেখের ছেলে। সে পান্টি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকালে তানজিলসহ কয়েকজন বন্ধু পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গল্প করছিলেন। এ অপর বন্ধু ইমন ওরফে ওবাইদা (২০) এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। একপর্যায়ে তানজিলের সঙ্গে ইমনের তর্কবিতর্ক হয়। এরমধ্যে ইমন তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত মোহসীন হোসাইন বলেন, জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার হরিপুরে দুপরে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ১ নম্বর হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বাহির বোয়ালদাহ ভুতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ভাষান কেদির ছেলে ওমর আলী (৬২) ও শুকলাল মিয়ার ছেলে মিরাজ হোসেন (৪৮)। এদের মধ্যে ওমর আলী হলেন কৃষক এবং মিরাজ হোসেন ফেরিওয়ালা। সংঘর্ষে আহত দুইজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুতপাড়া মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে আরিফের চা দোকানে নিয়মিত অনলাইন জুয়া খেলা হয়। সেখানে কিশোর-তরুণরা জুয়া খেলে।

ওমর আলীর ছেলে ও মিরাজের ছেলে ওই চা দোকানে জুয়া খেলে মোটা অংকের টাকা হেরে যান। এরপর ওমর আলী ও মিরাজ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আরিফের চা দোকানে যান; এবং অন্য জুয়াড়িদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান।

ওসি শাহাদাৎ হোসেন আরো জানান, দুপরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষ হয়। এর ঘঁনার সূত্র ধরে দুপ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় ওমর আলী এবং মিরাজ গুরুতর আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওমর আলী ও মিরাজ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আটকদেও মধ্যে রয়েছ জিন্না গাইনী (৬০), কালু (২৪), হসিবুল (২২), বাবু (৩০), সবুজ (২৬), চান্নু (২৭) ও রাজিব (৩০)। আটক সবাই স্থানীয় বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।