কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ক্ষতিকারক বিষ প্রয়োগে প্রায় ১৬ শতাংশ জমির অন্তত ৭০টি পেঁপে গাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বিলকাটিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিলকাটিয়া গ্রামের পাকা সড়কের ঢালে নিয়ামত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শাহিনের হরেকরকম সবজি খেত। খেতের বেশকিছু পেঁপে গাছের পাতায় হলুদে ভাব নিয়েছে। কোনটিও আবার শুকিয়ে মরে গেছে।
এসময় শাহিন বলেন, সড়কের ধারে আমার প্রায় চার বিঘা কৃষি জমি। জমি ঘেঁষে প্রায় ১৬ শতাংশ সড়কের ঢালু জমি রয়েছে। সেখানে প্রতিবেশী রুস্তম আলীর কৃষক ছেলে পলাশ হোসেনকে (২৮) বিনা স্বার্থে সবজি চাষ করতে দিয়েছিলাম। প্রায় তিন বছর ওই জমিতে পলাশ লাউ, মরিচ, বেগুনসহ নানান জাতের সবজি চাষ করেছে। তবে প্রায় মাস দুয়েক আগে পলাশের কাছ থেকে জমি নিয়ে স্থানীয় এতিমখানার জন্য নিজেই সবজি চাষ শুরু করেছি। এতে অখুশি পলাশ।
তাঁর ভাষ্য, পলাশ শত্রæতা করে তার রোপন করা পেঁপে গাছে ক্ষতিকারক বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে প্রায় ৭০টি গাছের পাতা হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন।
অভিযুক্ত পলাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলেনি। পলাশ বাড়িতে ছিলনা। তার ফোনটিও বাড়িতে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তার স্ত্রী মুন্নী খাতুন বলেন, আগে আমরা চাষ করতাম। এখন শাহিন নিজেই এতিমখানার জন্য সবজি চাষ করছে। তবে চারা মরার সাথে আমাদের কারো হাত নেই।
আরও পড়ুন – বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রের
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম জানান, সরেজমিন পরিদর্শন করে চারা মরার কারণ বলা যাবে। তিনি পরিদর্শন করে জানাবেন।