কুমারখালীর ডাকুয়া নদীতে সেতু নির্মাণে কচ্ছপ গতি

0
117

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের ডাকুয়া নদীর ওপর আনন্দনগর – খাগড়াবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন ৮১ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে।

সেতুর কাজের অগ্রগতি নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। উল্টোকরে ঠিকাদার দুষছেন, উপজেলা প্রকৌশলী অতিরিক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়ে বারবার সেতুর কাজ পরীা, নিরীা করে সময় কাটাচ্ছেন। আগামী বছরের মার্চ – এপ্রিলে কাজ শেষ হতে পারে।

এলাকাবাসী জানান, পান্টি ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের ১০-১২ টি গ্রামের অন্তত ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করেন খাগড়াবাড়িয়া সেতু এলাকা দিয়ে। আগে বাঁশের সেতু ছিল। বর্তমানে পাকা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে আরেকটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেটির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। বাঁশের সেতু দিয়ে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ কোটি দশ ল টাকা ব্যয়ে খাগড়াবাড়িয়া এলাকায় সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। চলতি বছরের ৩০ জুন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ হয়েছিল ৫০ ভাগ। ঢাকা উত্তরার এমএলটি এন্ড এমই এইচ জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদার ৫৫৫ দিন কাজ করেছে।

ঠিকাদারের আবেদনের ভিত্তিতে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সে মেয়াদও শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৯ টি গার্ডারের মধ্যে ৬ নং গার্ডারের কাজ চলছে।

মঙ্গলবার সকালে সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক গার্ডার ঢালাইয়ে সাটারিংয়ের কাজ করছেন। মানুষ বাঁশের তৈরি জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে। সেখানে প্রকৌশলী কর্তাদের দেখা মেলেনি।

পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য বাদল বিশ্বাস বলেন, কাজের মেয়াদ হয়েছে, কিন্তু সেতু নির্মাণ হয়নি। ঠিকারদার – প্রকৌশলীর গড়িমসিতে কাজ আগাচ্ছে না। মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা দ্রæত সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার ইকরামুল হক বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী অতিরিক্ত কর্মকর্তা – কর্মচারি নিয়ে বারবার সেতুর কাজ পরীা, নিরীা করতে আসে। প্রতিবার তাঁকে খুশি (টাকা) করতে হয়। খুশি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্মাণ কাজ আগাচ্ছে না।

আরো পড়ুন – ঝিনাইদহে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন

ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ঠিকাদারের টেকনিক্যাল জনবল নেই। লেবার দিয়েই কাজ চালায়। আমাদের বারবার সাইডে যেতে হয়। এতে কিছুটা কাজের বিলম্ব হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।