কুষ্টিয়ার পশুহাট জমে উঠেছে, নেই সামাজিক দুরত্ব

0
107
kushtia-Dro-13-p-12
কুষ্টিয়ার পশুহাট জমে উঠেছে, নেই সামাজিক দুরত্ব। ছবি-দ্রোহ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ায় জমে উঠেছে সকল পশুর হাট। প্রতি হাটে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।

সমগ্র জেলা জুড়ে প্রাণঘাতীর করোনার ভয়াবহ সংক্রমনের মধ্যেই কুষ্টিয়ার সর্ববৃহৎ পশুর হাট সদর উপজেলার আলামপুরের বালিয়াপাড়া মাঠে সামাজিক দূরত্বকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে জমজমাট পশুহাটে করোনার অভয়আরণ্য গড়ে তুলেছে এলাকার জনসাধারণ।

শনিবারের সাপ্তাহিক এই হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাউরের মুখেই মাস্ক নেই। অথচও প্রতিদিনই জেলায় প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে।  এহেন বর্তমান পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটিয়ে হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।

নদী ভাঙ্গন – আশ্রয়হীন হচ্ছে খোকসার ৩০ ছিন্নমূল পরিবার

সচেতন মহলের দাবি, হাটে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করণে অন্তত পক্ষে প্রশাসনের নজরদারি থাকার দরকার ছিল।

দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া অঞ্চলের পশু দেশে চাহিদা মেটাতে বড় ভুমিকা রেখে আসছে। কোরবানির ঈদের আগে এ জেলার হাট-বাজার থেকে ব্যাপারীরা গরু কিনে ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। এবার সেই সংখ্যা অনেক কম।

kushtia-Dro-13-p-13
পশু হাটের ছবি-দ্রোহ

সমগ্র জেলা জুড়ে বড় পশুর হাট রয়েছে মাত্র ১২টি। এসব হাট ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে আরও ছোট ছোট হাট-বাজার। এসব হাটে বিক্রির জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার গরু-ছাগল নিয়ে আসছে খামারিরা।

শনিবার জেলার সবচেয়ে বড় এই পশু মোকামের সর্ববৃহত হাট বসেছিল সদর উপজেলার আলামপুরর বালিয়াপাড়া মাঠে। সাপ্তাহিক এই হাটে গ্রামের হাজার হাজার কৃষক গাদাগাদি করে পশু বিক্রি করতে এসেছিল। সেখানে ছিল না সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই, এমনকি মানা হয়নি কোন স্বাস্থ্যবিধিও।

শুধুমাত্র সদর উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৩০ জন। সোমবার জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ জন। আক্রন্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁই ছুঁই। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, হাটে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ছিল। অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছিল। এতো মানুষের ভিড়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে নামানো প্রশাসনের একার পক্ষে বেশ কঠিন কাজ। তিনি াারও বলেন, মানুুষ নিজেকে থেকে সসচেতন না হলে প্রশাসন দিয়ে সচেতন করা যাবে না। তবে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।