কুষ্টিয়ায় অস্ত্র ও মাদকসহ সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক

0
115

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জেড এম স¤্রাট (৩৫) কে অস্ত্র মাদক ও ওয়াকিটকিসহ তার টর্চার সেল থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২ সিপিসি-১এর একটি অভিযানিক দল টিম। তিনি শহর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহানা সুলতানা বনির ছেলে।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক প্রেস ব্রিফিংএ লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে মুক্তিপন আদায়, টেন্ডার জিম্মি, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি করে আসছে সম্রাট। তার কার্যালয়ে টর্চার সেল পাওয়া গেছে। তার মতের বাইরে গেলেই কার্যালয়ে এনে টর্চার করতেন তিনি ও তার সহযোগীরা।

টর্চার সেলে নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে নির্মমভাবে টর্চার করে মোটা অংকের চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধে জড়িত প্রায় অর্ধ ডজন মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী জেড এম সম্রাটের নেতৃত্বে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী শহরজুড়ে সাধারণ জনমনে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এমন একাধিক অভিযোগ ও জিডি সূত্রে র‌্যাবের অভিযানিক দল সম্রাটের মজমপুরস্থ অফিস কাম টর্চার সেলে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৮রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়ান শুটার, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরণের মাদকদ্রব্য, ৪টি ওয়াকি টকিসহ বেশকিছু সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জেড এম সম্রাট(৩৩), শহরের কমলাপুরের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম এবং শহর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাহানা সুলতানা বনির ছেলে। তার অপর দুই সহযোগী যথাক্রমে পশ্চিম মজমপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুলের ছেলে দীন ইসলাম রাসেল (৩৩) এবং জুগিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওসমান হাসান (৩১)। তাদের কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১২’র এই কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন – ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

এদিকে গ্রেফতারকৃত জেড এম সম্রাটের মা কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাহানা সুলতানা বনি অভিযোগ করেন, তার ছেলে যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক নেতারা ব্যবহার করেন। যখনই এদিক ওদিক হেরফের হয় তখনই আবার র‌্যাব পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়। এর আগেও আরও একাধিক বার র‌্যাবকে দিয়ে আমার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছে ওরা। আমি এর বিচার চাই।