কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার বেলা ১২ টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা রিজিয়া বানু (৫৮) মারা যান। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজসেবী পদে কর্মরত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সুলতানা রিজিয়া বানু করোনা আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া প্রথম রোগী।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার সরকার বলেন, শনিবার আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে শহরের কোর্টপাড়া কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের বাসিন্দা মৃত মোল্লা ফকির মহম্মদের স্ত্রী সুলতানা রিজিয়া বানু প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১০ দিন ধরে তিনি জ্বর, ঠান্ডা এবং কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ৩-৪ দিন ধরে তার শ্বাসকষ্ট কষ্ট দেখা দেয়। আত্মীয় স্বজনরা তাকে বসাতেই অক্সিজেন দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে শনিবার রাত ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর আগে শনিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার রাতে জানা যায় তার করোনা পজিটিভ। এ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হলো।
বুধবার খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াদ আলী (৮৫) করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। গত ১৯ এপ্রিল সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে একশো এক বছর বয়সী বৃদ্ধ কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি এলাকার মোকাদ্দেস হোসেন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার কাচারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বুলবুল আহম্মেদ (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত এক সম্পাহ যাবৎ তিনি জ¦র, ঠান্ডা ও কাশির সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট কষ্ট দেখা দিলে পারিবারের লোকজন তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাগ ১০ টার দিকে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষার জন্য তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হলো এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হলো ১৩ জনের। জেলায় গত ২০ জুন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪৭ জন।